মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে তার পূর্বঘোষিত পরিকল্পনা থেকে অনেকটাই সরে এসেছেন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, এখন তিনি এ পরিকল্পনাকে বাধ্যতামূলক হিসেবে চাপিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে কেবল সুপারিশ হিসেবে উপস্থাপন করবেন। অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু মনে করছেন, এটি বাস্তবায়নযোগ্য নয়।
জেরুজালেম পোস্ট-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প স্পষ্ট করেছেন যে, গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে তার পরিকল্পনা বাধ্যতামূলক নয়, বরং এটি শুধুমাত্র একটি পরামর্শ। অথচ এর আগে তিনি মিসর ও জর্ডানের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন, যাতে তারা গাজার বাসিন্দাদের গ্রহণ করে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ট্রাম্প একাধিকবার গাজায় ভবিষ্যতে মার্কিন নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি সামনে এনেছেন। তবে ইসরায়েলি সরকার এই পরিকল্পনাকে সমর্থন করলেও, নেতানিয়াহু একে বাস্তবায়নযোগ্য বলে মনে করছেন না।
ইসরায়েলের মাআরিভ সংবাদপত্রের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গাজার জনগণের ‘স্বেচ্ছায় অভিবাসন’ ধারণাকে নেতানিয়াহু তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন না। সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটি বাস্তবে কার্যকর করা কঠিন এবং গাজার ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কোনো কার্যকর সমাধান নয়।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, নেতানিয়াহুর সরকার এখনো গাজা নিয়ে কোনো সুস্পষ্ট পরিকল্পনা উপস্থাপন করেনি। এ পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি করতে পারে এবং এতে নেতানিয়াহু ট্রাম্পের সমালোচনার মুখে পড়তে পারেন, ঠিক যেমন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পড়েছিলেন।
এদিকে, দ্য গার্ডিয়ান-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার যুদ্ধকালীন স্বাস্থ্য পরিস্থিতি চরম সংকটের দিকে যাচ্ছে।
ব্রিটিশ চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সংক্রামক রোগের বিস্তার, অপুষ্টিজনিত সমস্যা, হাসপাতাল ধ্বংস এবং চিকিৎসক সংকটের কারণে গাজায় মৃত্যুহার দ্রুত বাড়ছে।
সূত্র: আল জাজিরা