গাজা উপত্যকায় আজ শনিবার সপ্তম দফায় ছয়জন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। চলমান যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ের অধীনে এই বন্দি বিনিময় কার্যক্রম চলছে, যা ১৯ জানুয়ারি থেকে কার্যকর রয়েছে।
হামাসের সামরিক শাখা কাসসাম ব্রিগেড দক্ষিণ রাফায় আন্তর্জাতিক রেড ক্রসের কাছে দুই ইসরায়েলি বন্দি—আভ্রা মেঙ্গিস্তু ও তাল শোহামকে হস্তান্তর করে। নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরে আরও চারজন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়।
আনুষ্ঠানিক হস্তান্তরের পর মেঙ্গিস্তু ও শোহামকে রেড ক্রসের গাড়িতে তোলা হয়। মেঙ্গিস্তু ২০১৪ সালে গাজায় প্রবেশের পর থেকে বন্দি ছিলেন। ইসরায়েলি সম্প্রচার সংস্থা জানিয়েছে, মুক্তিপ্রাপ্তরা শারীরিকভাবে সুস্থ রয়েছেন।
কাসসাম ব্রিগেডের সামরিক মুখপাত্র আবু উবাইদা জানান, মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের মধ্যে রয়েছেন ইলিয়া কোহেন, ওমর শেভ তোভ, ওমর ফিনকার্ট, তাল শোহাম, আভ্রা মেঙ্গিস্তু এবং হিশাম আল-সায়েদ। ইসরায়েল জানিয়েছে, মুক্তিপ্রাপ্তদের পরিবারের সঙ্গে ইতোমধ্যে যোগাযোগ করা হয়েছে।
বন্দি বিনিময়ের অংশ হিসেবে আজ ইসরায়েলি কারাগার থেকে ৬০২ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হবে। তাঁদের মধ্যে ৫০ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ও ৬০ জন উচ্চ দণ্ডপ্রাপ্ত বন্দি রয়েছেন।
এ ছাড়া ৭ অক্টোবরের পর গ্রেপ্তার হওয়া গাজার ৪৪৫ বন্দিকেও মুক্তি দেওয়া হবে।
রাফাহ ও নুসাইরাতে বন্দি হস্তান্তরের সময় কাসসাম ব্রিগেড দখলকৃত অস্ত্র প্রদর্শন করে এবং শহিদ প্রতিরোধ নেতাদের ছবি ও ‘আমরা তুফান, আমরা প্রবল প্রতিরোধ’ লেখা ব্যানার প্রদর্শন করে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাফাহর বন্দি বিনিময় অনুষ্ঠানটি ইসরায়েলি বাহিনীর অবস্থানের কয়েকশ মিটার দূরে অনুষ্ঠিত হয়। নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরেও বন্দি বিনিময়ের সময় ব্যাপক সামরিক ও জনসমাগম লক্ষ্য করা গেছে। সেখানে কাসসাম ব্রিগেড পরিচালিত ‘জুহর আদ-দিক’ ও ‘মাগাজি ফাঁদ’ অভিযানে ইসরায়েলি বাহিনীর ২২ সেনা নিহত হওয়ার তথ্য তুলে ধরা হয়।
ইসরায়েল জানিয়েছে, বন্দি বিনিময়ের দ্বিতীয় পর্যায়ে তারা আরও ২২ জন জীবিত বন্দিকে ফেরত পেতে চায়।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র চায় আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি নতুন চুক্তি চূড়ান্ত করতে। এ বিষয়ে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন মার্কিন মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত।
সূত্র: আল জাজিরা
