অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের এপিং শপিং সেন্টারে হিজাব পরিধানের কারণে দুই মুসলিম নারী নৃশংস হামলার শিকার হয়েছেন। আক্রান্তদের একজন ছিলেন গর্ভবতী। হামলার শিকার নারীদের দাবি, তারা কেবলমাত্র হিজাব পরার কারণেই বৈষম্যের শিকার হয়েছেন।
ভুক্তভোগী কাওসার আলী জানান, ঘটনার সময় তিনি তার চার বছরের কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন। এসময় একজন নারী পেছন থেকে তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং তার হিজাব টেনে ধরে গলা চেপে ধরেন। এই অপ্রত্যাশিত হামলায় তিনি শ্বাসরোধের শিকার হন এবং চরম ভীতির মধ্যে পড়েন।
একই এলাকায় মিনিট কয়েকের ব্যবধানে আরও এক মুসলিম নারী, এলাফ আল-এসাওয়িকেও আক্রমণ করা হয়। হামলাকারী তাকে ঘুষি মেরে, চড় দিয়ে এবং ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। এতে তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ও আঁচড়ের দাগ তৈরি হয়।
ভুক্তভোগীরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, তাদের ওপর এই হামলার কারণ একমাত্র তাদের হিজাব পরিধান। ইসলামি পোশাকের কারণে তারা প্রকাশ্য বৈষম্য ও বিদ্বেষের শিকার হয়েছেন।
পুলিশ ইতোমধ্যে অভিযুক্ত নারী সুসান গোনুলালানকে গ্রেপ্তার করেছে। তার বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত ও বেপরোয়া হামলা, অবৈধভাবে আঘাত করা এবং গুরুতর শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এই ঘটনার পর অস্ট্রেলিয়ার মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। তারা বলছেন, ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে হামলার শিকার হওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক এবং এটি সহনশীল সমাজের জন্য হুমকিস্বরূপ। মুসলিম নারীদের বিরুদ্ধে এমন বিদ্বেষমূলক হামলা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
সূত্র : DoamMuslims