গাজায় বন্দি বিনিময়ের দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল। তবে শর্ত হিসেবে তারা হামাসের নিরস্ত্রীকরণের দাবি তুলেছে, যা হামাস সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে।
ইসরায়েলের সম্প্রচারমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু আনুষ্ঠানিকভাবে আগামী সপ্তাহে বন্দি বিনিময়ের দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই আলোচনার মূল ভিত্তি হবে হামাসকে নিরস্ত্র করা।
মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফের ইসরায়েল সফরের সঙ্গেই এ আলোচনা শুরু হবে। ইসরায়েলের চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, নেতানিয়াহু গাজাকে নিরস্ত্র করা এবং হামাসের পরিবর্তে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে আলোচনা ব্যর্থ হলে নতুন করে সংঘর্ষের প্রস্তুতিও নিচ্ছে ইসরায়েল।
নেতানিয়াহু মন্ত্রিসভার সদস্যদের সতর্ক করে দিয়েছেন, আলোচনার কোনো তথ্য ফাঁস করা যাবে না। তার ভাষায়, ‘বন্দিদের ফেরানোর লক্ষ্যে কোনো ক্ষতি হোক, তা আমি চাই না।’
দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতির আলোচনা পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন ইসরায়েলের কৌশলবিষয়ক মন্ত্রী রন ডার্মার। এর আগে এ দায়িত্বে ছিলেন মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়া।
হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘হামাসকে গাজা থেকে সরানোর শর্ত একধরনের হাস্যকর মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিরোধ আন্দোলনকে গাজা থেকে সরানো বা নিরস্ত্রীকরণের যে কোনো প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করা হবে।’ গাজার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।
হামাসের গাজা শাখার প্রধান খালিল আল-হাইয়া বলেছেন, ‘আমরা যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা ও দখলদার বাহিনীর প্রত্যাহারের বিষয়ে আলোচনায় প্রস্তুত।’
প্রথম ধাপের আলোচনার আওতায় আজ বৃহস্পতিবার চার বন্দির মরদেহ হস্তান্তর করবে হামাস। পরের সপ্তাহে আরও চারজনের মরদেহ দেওয়া হবে।
ইসরায়েলি সংবাদপত্র ইসরায়েল হায়োম জানিয়েছে, বন্দিদের পরিবারের সংগঠন নেতানিয়াহুর কাছে জানতে চেয়েছে, ‘দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা কেন এগোচ্ছে না?’ তাদের আশঙ্কা, আলোচনা থেমে থাকলে অনেক বন্দির জীবন ঝুঁকিতে পড়বে।
কায়রোর আলোচনায় হওয়া সমঝোতা অনুযায়ী, শনিবার ছয় জীবিত বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে হামাস।
সূত্র: আল জাজিরা