ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু দুর্নীতির মামলায় দশমবারের মতো আদালতে হাজির হয়েছেন। আজ সোমবার তেল আবিবের কেন্দ্রীয় আদালতে তার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানির শুরুতেই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, যখন তার আইনজীবীরা শুনানির দীর্ঘ সময় নিয়ে আপত্তি জানান।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়ালার প্রতিবেদনে বলা হয়, শুনানির শুরুতেই তীব্র বাকবিতণ্ডা হয়। নেতানিয়াহুর আইনজীবীরা যুক্তি দেন গাজায় চলমান যুদ্ধের কারণে প্রধানমন্ত্রীকে সংক্ষিপ্ত শুনানির সুযোগ দেওয়া উচিত। তবে আদালত এ দাবি নাকচ করে দেয়।
ইদিয়োথ আহরোনোথের খবরে বলা হয়, শুনানির সময় বিচারক নেতানিয়াহুকে শান্ত থাকতে বলেন এবং তাকে কোনো মন্তব্য করার সুযোগ দেননি। এতে নেতানিয়াহু বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, তিনি বিচারকের আচরণে ‘খুবই অবাক’ হয়েছেন।
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তিনটি পৃথক মামলায় ঘুষ, জালিয়াতি ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে, যা ‘কেস ১০০০, ২০০০ ও ৪০০০’ নামে পরিচিত। অভিযোগগুলোতে বলা হয়েছে, তিনি মূল্যবান উপহার গ্রহণ করে ব্যবসায়ীদের বিশেষ সুবিধা দিয়েছেন, কূটনৈতিক সহায়তা দিয়েছেন এবং সংবাদমাধ্যমের কাভারেজ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছেন।
এই মামলাগুলোর কারণে ইসরায়েলের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে অস্থিরতা চলছে। গত চার বছরে দেশটিতে পাঁচবার জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, কারণ কোনো দলই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি।
দুর্নীতির অভিযোগ নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক অবস্থানেও বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে। এসব ইস্যুর কারণে তার কিছু ঘনিষ্ঠ মিত্র সরে দাঁড়িয়েছেন, যা ইসরায়েলের রাজনৈতিক বিভক্তিকে আরও গভীর করেছে।
সূত্র: আল জাজিরা