দখলদার ইসরায়েলের অব্যাহত হামলার কারণে পশ্চিম তীরের বিভিন্ন শরণার্থী শিবির থেকে অন্তত ৪০ হাজার ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সহায়তা ও কর্মসংস্থানবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটির তথ্যমতে, প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে চলা অভিযানে প্রথমে জেনিন শরণার্থী শিবিরে হামলা চালানো হয়। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে তুলকার্ম, নূর শামস ও ফারাআ শরণার্থী শিবিরে। এসব হামলার ফলে হাজারো ফিলিস্তিনি পরিবার তাদের বসতি ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাপক অভিযান শুরু হয়। ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, ধারাবাহিক হামলার কারণে শরণার্থী শিবিরগুলো বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে অনেক মানুষ অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে এবং অনেকে একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
২০২৪ সালে এখন পর্যন্ত ৬০ শতাংশ বাস্তুচ্যুতির ঘটনা ঘটেছে ইসরায়েলি হামলার ফলে, যা কোনো আইনি প্রক্রিয়ার আওতায় হয়নি বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
ইউএনআরডব্লিউএ সতর্ক করেছে, পশ্চিম তীরে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির মাত্রা ক্রমেই ভয়াবহ হয়ে উঠছে। ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলা, সাঁজোয়া বুলডোজার, বিস্ফোরণ ও উন্নত অস্ত্রের ব্যবহার নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে, যা গাজার যুদ্ধেরই সম্প্রসারণ।
সংস্থাটি বেসামরিক জনগণ ও অবকাঠামো রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছে, ‘জেনিন শরণার্থী শিবির এখন পুরোপুরি জনশূন্য। এটি দ্বিতীয় ইন্তিফাদার স্মৃতি ফিরিয়ে আনছে। ইসরায়েলের পরিকল্পনা অনুযায়ী, অন্যান্য শরণার্থী শিবিরেও একই পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।’
সূত্র: আল মায়াদিন