লেবাননে নওয়াফ সালামের নেতৃত্বে ২৪ সদস্যের নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন গতকাল শনিবার নাজিব মিকাতির পদত্যাগ গ্রহণ করে নতুন সরকার অনুমোদন করেন। কয়েক সপ্তাহের আলোচনার পর এই সরকার গঠন হলো, যেখানে হিজবুল্লাহ দুর্বল হয়ে পড়ায় রাজনৈতিক ভারসাম্যে পরিবর্তন এসেছে।
প্রথম বৈঠক আগামী মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট ভবন বাবদায় অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে সরকার সদস্যদের আনুষ্ঠানিক ছবি তোলা হবে।
সংস্কার ও পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি
প্রধানমন্ত্রী নওয়াফ সালাম জানিয়েছেন, নতুন সরকার অর্থনৈতিক সংস্কার বাস্তবায়ন ও পুনর্গঠন তহবিল সংগ্রহে কাজ করবে। তিনি ২০০৬ সালের যুদ্ধ অবসানে জাতিসংঘের ১৭০১ নম্বর প্রস্তাব বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আমরা সংস্কার ও পুনর্গঠনের জন্য কাজ করবো। দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে অস্ত্রবিরতি চুক্তি কার্যকর করা হবে। আমাদের লক্ষ্য জনগণের বিশ্বাস পুনরুদ্ধার ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়ন।”
সরকার গঠনের প্রক্রিয়া
লেবাননে সরকার গঠনে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা করা হয়। শিয়া সম্প্রদায়ের মন্ত্রী নিয়োগ নিয়ে জটিলতা থাকলেও শেষ পর্যন্ত আমাল আন্দোলন চারজন মন্ত্রী মনোনীত করতে সক্ষম হয়েছে, যার মধ্যে অর্থমন্ত্রী হিসেবে ইয়াসিন জাবের নিয়োগ পেয়েছেন।
নতুন মন্ত্রিসভা
নওয়াফ সালামের নেতৃত্বাধীন নতুন মন্ত্রিসভায় রয়েছেন:
উপ-প্রধানমন্ত্রী: তারেক মিত্রী
অর্থমন্ত্রী: ইয়াসিন জাবের
পররাষ্ট্র ও অভিবাসন মন্ত্রী: ইউসুফ রাজি
স্বরাষ্ট্র ও পৌরমন্ত্রী: আহমেদ এল-হাগার
জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী: মিশেল মেনসা
শিক্ষামন্ত্রী: রিমা কারামি
জনস্বাস্থ্যমন্ত্রী: রাকান নাসের আল-দীন
অর্থনীতি ও বাণিজ্য মন্ত্রী: আমের আল-বাসাত
গণপূর্ত ও পরিবহন মন্ত্রী: ফয়েজ রাসামনি
এছাড়াও অন্যান্য মন্ত্রী রয়েছেন, যারা অর্থনীতি পুনরুদ্ধার, নিরাপত্তা উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক আস্থা পুনঃস্থাপনে কাজ করবেন। নতুন সরকার এখন নীতিনির্ধারণী ঘোষণা প্রস্তুত করবে এবং পার্লামেন্টের অনুমোদন পেলেই পূর্ণ কার্যক্ষমতা লাভ করবে।
লেবাননের নতুন সরকারকে অর্থনৈতিক সংকট উত্তরণ, নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা ও আন্তর্জাতিক আস্থা পুনরুদ্ধারের কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।
সূত্র : আশ শারকুল আওসাত