ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সৌদি আরবের ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছেন, যা কড়া ভাষায় প্রত্যাখ্যান করেছে মিসর। কায়রো একে সৌদি আরবের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন এবং আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী বলে অভিহিত করেছে।
আজ শনিবার মিসরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘সৌদি আরবের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তায় হস্তক্ষেপ একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। এটি একটি লাল রেখা, যা কোনোভাবেই লঙ্ঘন করতে দেওয়া হবে না।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘মিসর ইসরায়েলের এই দায়িত্বহীন ও উসকানিমূলক বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। এটি শুধু সৌদি আরবের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত নয়, বরং আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’
মিসর স্পষ্ট করে জানিয়েছে সৌদি আরবের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা পুরো আরব বিশ্ব এবং মিসরের জাতীয় নিরাপত্তার অবিচ্ছেদ্য অংশ। কায়রো আরও বলেছে, ‘এ বিষয়ে কোনো আপসের সুযোগ নেই। সৌদি আরবের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় মিসর সর্বদা পাশে থাকবে।’
গতকাল শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু বলেন, ‘সৌদি আরবের বিশাল এলাকা রয়েছে, যেখানে একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে।’
এর আগে সৌদি আরব স্পষ্ট করে জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আগেই ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার কোনো সম্ভাবনা নেই। বুধবার এক বিবৃতিতে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ‘ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা নিয়ে আমাদের অবস্থান অপরিবর্তনীয়। এটি কোনো আলোচনার বিষয় নয়, বরং আমরা মার্কিন প্রশাসনকেও তা স্পষ্টভাবে জানিয়েছি।’
সৌদি আরব বহুবার বলেছে যে ১৯৬৭ সালের সীমানা অনুযায়ী একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইসরায়েলের সম্মতি না থাকলে তারা কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে না।
মিসর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে নেতানিয়াহুর এই মন্তব্যের নিন্দা জানানোর আহ্বান জানিয়েছে। কায়রো বলেছে, ‘এ ধরনের মন্তব্য শুধু মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতাকে নড়বড়ে করবে না, বরং ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায়সংগত অধিকার প্রতিষ্ঠার পথে বড় বাধা সৃষ্টি করবে।’
সূত্র: টিআরটি অ্যারাবিক