সিরিয়ায় রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটিগুলো বজায় রাখা নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী মুরহাফ আবু কাসরা। তার মতে, হামেইমিম বিমানঘাঁটি ও তারতুস নৌঘাঁটিসহ রুশ সামরিক স্থাপনাগুলো যদি সিরিয়ার স্বার্থ রক্ষা করে, তবে দামেস্ক এ বিষয়ে ইতিবাচক অবস্থান নেবে।
এক সাক্ষাৎকারে আবু কাসরা বলেন, গত ডিসেম্বরে সিরিয়ায় রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর মস্কোর সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন দিক উন্মোচিত হয়েছে। সিরিয়ার নতুন নেতৃত্ব রাশিয়ার দাবিগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে এবং দুই দেশের স্বার্থে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে আলোচনা চলছে।
‘ওয়াশিংটন পোস্ট’-এর এক প্রশ্নে আবু কাসরাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয় যে, একসময় তিনি ও তার সহযোদ্ধারা রুশ বিমান হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিলেন। জবাবে তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে স্থায়ী শত্রু বলে কিছু নেই।’
রাশিয়া সিরিয়ায় সামরিক ঘাঁটি চালিয়ে যেতে পারবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যদি তা সিরিয়ার জন্য লাভজনক হয়, তাহলে অবশ্যই।’ তিনি আরও জানান, সিরিয়া প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বিষয়ে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা করছে, পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের সঙ্গে সামরিক ঘাঁটি সংক্রান্ত সংবেদনশীল ইস্যুতেও আলোচনা চলছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের বেশির ভাগ দেশ সিরিয়ায় রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটি রাখার পক্ষে রয়েছে। তবে এটি নির্ভর করছে সিরিয়ার নতুন নেতৃত্বের সঙ্গে সমঝোতার ওপর।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ জানান, সিরিয়ার পক্ষ থেকে এখনো রুশ সামরিক ঘাঁটিগুলো নিয়ে কোনো পুনর্বিবেচনার অনুরোধ আসেনি। তিনি বলেন, ‘এগুলো আন্তর্জাতিক চুক্তির ভিত্তিতে স্থাপিত হয়েছে এবং ভবিষ্যতে সিরিয়ার নতুন প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার বিষয় হতে পারে।’
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আশ-শারা জানিয়েছেন, তার দেশ রাশিয়ার সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। বৈশ্বিক শক্তি হিসেবে রাশিয়ার গুরুত্ব বিবেচনায় রেখেই তারা ভবিষ্যৎ কৌশল নির্ধারণ করবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রধান লক্ষ্য দেশের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন কোনো সংঘাতে জড়ানো নয়।’
সূত্র: আরটি অ্যারাবিক