সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমদ আশ-শারা জানিয়েছেন, দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আয়োজন করতে অন্তত ৪ থেকে ৫ বছর সময় লাগবে। সোমবার এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য আমাদের যথাযথ অবকাঠামো গড়ে তুলতে হবে, যা সময়সাপেক্ষ।’
তিনি আরও জানান, স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত করতে জনসংখ্যাগত তথ্য হালনাগাদ করা জরুরি। পাশাপাশি, একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করে পরিচালিত হবে এবং জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে অংশগ্রহণমূলক সরকার গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে।
আহমদ আশ-শারা জানান, এক মাসের মধ্যেই নতুন সরকার গঠন করা হবে, যেখানে সমাজের সব শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব থাকবে। পাশাপাশি, ৩ থেকে ৪ বছরের মধ্যে সংবিধান প্রণয়ন সম্পন্ন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
সেনাবাহিনীর পুনর্গঠন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সব সশস্ত্র গোষ্ঠীকে এতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে, তবে কেউ রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণের বাইরে অস্ত্র রাখলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইসরায়েল ইস্যুতে কড়া অবস্থান জানিয়ে আশ-শারা বলেন, ‘গোলান মালভূমি মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত কোনো শান্তিচুক্তির সম্ভাবনা নেই।’ এ ছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে সৌদি আরব ও কাতারের সঙ্গে বিনিয়োগ সংক্রান্ত আলোচনা চলছে বলে জানান প্রেসিডেন্ট।
সম্প্রতি, সিরিয়ার নতুন প্রশাসন বেশ কিছু বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার মধ্যে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো বিলুপ্ত করা, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ও সংসদ বাতিল করা এবং দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা বাথ পার্টির কার্যক্রম বন্ধ করা অন্যতম।
সূত্র: আল জাজিরা