ইসরায়েলের নতুন সেনাপ্রধান ইয়াল জামির ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখার হুমকি দিয়েছেন। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) তেল আবিবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি তাওরাতের একটি উদ্ধৃতি ব্যবহার করে এই হুমকি দেন। ইসরায়েলের বেসরকারি চ্যানেল ১২ এই তথ্য জানিয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীতে ৩৮ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করে আসা ইয়াল জামির ফিলিস্তিনিদের দমন-পীড়ন ও সামরিক অভিযানে সরাসরি জড়িত ছিলেন। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তাকে নতুন সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ দেন। তিনি পদত্যাগকারী সেনাপ্রধান হের্তসি হালেভির স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন।
সম্মেলনে জামির বলেন, ‘২০২৫ সাল হবে লড়াই ও সামরিক চ্যালেঞ্জে ভরা একটি বছর। সংকট এখনো শেষ হয়নি, আমাদের সামনে আরও অনেক চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে।’
এরপর তিনি তাওরাতের একটি উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘আমি আমার শত্রুদের তাড়িয়ে নিয়ে যাব, তাদের ধরব এবং তাদের সম্পূর্ণ ধ্বংস না করে ফিরে আসব না।’
ইসরায়েলের শীর্ষ পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তার তাওরাতের উদ্ধৃতি দিয়ে সহিংসতায় উসকানি দেওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগে ২০২৩ সালের নভেম্বরে গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান চলাকালে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুও সেনাদের উসকানির জন্য তাওরাতের একাধিক উদ্ধৃতি ব্যবহার করেছিলেন।
চ্যানেল ১২ আরও জানিয়েছে, ইয়াল জামির আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদে নতুন নিয়োগ এবং কয়েকজন কর্মকর্তার অপসারণও থাকবে।
উল্লেখ্য, গত ২১ জানুয়ারি ইসরায়েলের তৎকালীন সেনাপ্রধান হের্তসি হালেভি পদত্যাগ করেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের আকস্মিক হামলা প্রতিরোধে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে তিনি পদত্যাগ করেন। হালেভি বলেন, ‘আমি সারাজীবন এই ভয়াবহ দিনের দায় নিজের কাঁধে বহন করব।’
এই ব্যর্থতার জন্য ইসরায়েলের একাধিক রাজনৈতিক, সামরিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা দায় স্বীকার করলেও প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এখনো কোনো ধরনের দায় স্বীকার করেননি। এমনকি হামলার ঘটনা তদন্তে কোনো আনুষ্ঠানিক কমিটি গঠনের বিষয়েও তিনি সম্মতি দেননি।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি