মধ্যপ্রাচ্য অর্ডার করতে ক্লিক করুন

চতুর্থ দফার বিনিময় চুক্তিতে দুই ইসরায়েলি বন্দিকে রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করল হামাস

চতুর্থ দফার বিনিময় চুক্তিতে দুই ইসরায়েলি বন্দিকে রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করল হামাস
চতুর্থ দফার বিনিময় চুক্তিতে দুই ইসরায়েলি বন্দিকে রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করল হামাস। ছবি : আনাদোলু

গাজা উপত্যকার খান ইউনুসে চতুর্থ দফার বন্দি বিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুই ইসরায়েলি বন্দিকে আন্তর্জাতিক রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করেছে হামাসের সশস্ত্র শাখা ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেড। এর বিনিময়ে ইসরায়েল ১৮৩ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে।

বন্দি বিনিময়ের এই চুক্তি চলমান যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের অংশ, যা ১৯ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে। আনাদোলু সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বন্দি হস্তান্তরের পর রেড ক্রসের প্রতিনিধি দল নির্দিষ্ট স্থানটি ত্যাগ করে। বন্দিদের আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণের পর কাসসাম ব্রিগেডের স্থাপন করা মঞ্চে হস্তান্তর নথিতে সই করেন রেড ক্রসের কর্মকর্তারা।

বন্দি হস্তান্তরের সময় ঘটনাস্থলে জড়ো হন শত শত ফিলিস্তিনি। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মোতায়েন করা হয় কাসসাম ব্রিগেডের বিপুল-সংখ্যক সদস্য। পাশাপাশি সেখানে টানানো হয় ইসরায়েলি হামলায় শহিদ কাসসাম নেতাদের ছবি, যারা সাম্প্রতিক সময়ে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় শহিদ হয়েছেন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আভিখাই আদরি এক বিবৃতিতে জানান, ‘রেড ক্রসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আমাদের দুই ইসরায়েলি বন্দি তাদের প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তারা গাজা উপত্যকার ভেতরে প্রতিরক্ষা বাহিনী ও শিন বেতের (ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা) কাছে পৌঁছানোর পথে রয়েছে।’

চতুর্থ দফার এই বিনিময় চুক্তির আওতায় কাসসাম ব্রিগেড মোট তিন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। এর বিনিময়ে ইসরায়েল ১৮৩ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়, যাদের মধ্যে ১৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ছিল, ৫৪ জন উচ্চ মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত এবং ১১১ জন গাজার বাসিন্দা, যাদের ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর আটক করা হয়েছিল।

এদিকে গাজার বন্দরে আরও এক ইসরায়েলি বন্দিকে রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছে কাসসাম ব্রিগেড। এই বন্দি দ্বৈত নাগরিকত্ব-ধারী, যিনি ইসরায়েলি ও মার্কিন পাসপোর্ট বহন করেন। হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় ফিলিস্তিনিদের ব্যাপক উপস্থিতি এবং কাসসাম ব্রিগেডের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় রাখা হবে বলে জানা গেছে।

জনপ্রিয়