ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে তারা সেনা প্রত্যাহার করবে না, যতক্ষণ না লেবাননীয় বাহিনী সেখানে কার্যকর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলি বাহিনী ওই এলাকায় হিজবুল্লাহর ঘাঁটি ধ্বংসের পরিকল্পনা করছে। যদিও যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে, তবুও ইসরায়েলি সেনারা সেখানে অবস্থান অব্যাহত রাখবে। তাদের পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে একাধিক সামরিক অভিযান চালিয়ে হিজবুল্লাহর অবস্থান গুঁড়িয়ে দেওয়া এবং সংগঠনটির লুকিয়ে রাখা অস্ত্র জব্দ করা।
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, সীমান্তবর্তী ইসরায়েলি জনবসতি এবং লেবাননের সঙ্গে থাকা সীমান্ত বেড়ার মধ্যে নতুন সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইতোমধ্যে কয়েকটি ঘাঁটির নির্মাণ শেষ হয়েছে, যা ইসরায়েলের জন্য একটি ‘নিরাপত্তা অঞ্চল’ হিসেবে কাজ করবে।
একজন ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তা বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি চললেও হিজবুল্লাহর অস্ত্রভাণ্ডারে হামলা চালানো হয়েছে, কারণ তারা চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। লেবাননীয় সেনাবাহিনী পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে না পারা পর্যন্ত ওই এলাকাটি তাদের হাতে তুলে দেওয়ার সুপারিশ করছি না।’
তিনি আরও জানান, লেবাননের সীমান্ত থেকে কিছু দূরের গ্রামগুলোর নিয়ন্ত্রণ লেবাননীয় বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে সীমান্তবর্তী গ্রাম ও পুরো সীমান্তজুড়ে এখনো ইসরায়েলি সেনারা অবস্থান করছে।
ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তাদের দাবি, লেবাননের সেনাবাহিনী ওই অঞ্চলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে না। ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের নাগরিকরা উত্তরাঞ্চলে ফিরতে শুরু করেছে। তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর, এটি লেবাননীয় বাহিনী বা অন্য কোনো বিদেশি বাহিনীর দায়িত্ব নয়।’
তিনি আরও জানান, সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুনর্গঠন করেছে ইসরায়েল। ‘বর্তমানে সেনাবাহিনী প্রথম সারিতে থাকবে, এরপর বসতি এলাকা। প্রতিটি জনবসতির সঙ্গে সীমান্তের মধ্যে একটি সামরিক ঘাঁটি থাকবে,’।
ইসরায়েলের দাবি, লেবাননের দক্ষিণে তাদের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের লক্ষ্য ভবিষ্যতে ওই এলাকায় স্থায়ী নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
সূত্র: আরটি