প্রথম বন্দি বিনিময়
১৯৬৮ সালের ২৩ জুলাই প্রথমবারের মতো ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার (পিএলও) মধ্যে বন্দী বিনিময় চুক্তি হয়।

১৯৭১ সালের বন্দিবিনিময়
১৯৭১ সালের ২৮ জানুয়ারি ফাতাহ আন্দোলনের সঙ্গে চুক্তি করে ইসরায়েলি সেনা শামুয়েল ফায়েজের মুক্তির বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দী মাহমুদ বকর হাজাজিকে মুক্তি দেওয়া হয়।

নওরোস চুক্তি
১৯৭৯ সালের ১৪ মার্চ ‘নওরস’ নামে একটি চুক্তি হয়। এতে ১৯৭৮ সালের লিটানি অপারেশনের সময় আটক হওয়া ইসরায়েলি সেনা আব্রাহাম ওমরামকে মুক্তি দেওয়া হয়।

১৯৮৩ সালের চুক্তি
১৯৮৩ সালের ২৩ নভেম্বর ফাতাহর সাথে আরেকটি চুক্তি হয় ইসরায়েলের। এতে ইসরায়েল ৪৭০০ বন্দী এবং ৬৫ জন নেতাকে মুক্তি দেয়।

১৯৮৫ এর চুক্তি
১৯৮৫ সালের ২০ মে ইসরায়েল ‘পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইন’ গোষ্ঠীর সঙ্গে চুক্তি করে ১১৫৫ জন ফিলিস্তিনি এবং লেবানিজ বন্দীকে মুক্তি দেয়।

আহমদ ইয়াসিন চুক্তি
১৯৯৭ সালের অক্টোবরের শুরুতে, তেল আবিব হামাসের প্রতিষ্ঠাতা শায়েখ আহমদ ইয়াসিন এবং তার সঙ্গীদের মুক্তি দেয়।

২০০৯ সালের চুক্তি
২০০৯ সালের অক্টোবরে ইসরায়েল ২০ জন নারী বন্দীকে মুক্তি দেয়। এর বিনিময়ে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর হাতে বন্দী ইসরায়েলি সেনা গিলাদ শালিতের একটি ভিডিও পায়।

ওফা আল আহরার
২০১১ সালের ১১ অক্টোবর আরেকটি বড় চুক্তি হয়, যা হামাস ‘ওফা-আল-আহরার’ নামে অভিহিত করে।

২০২৩ সালের চুক্তি
সবশেষ ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে গাজায় চলমান সংঘর্ষের মধ্যে একটি মানবিক চুক্তি হয়। এতে ৫০ জন ইসরায়েলি বন্দীর বিনিময়ে ২৪০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়।

চলমান চুক্তি
গত বুধবার কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, কাতার, মিশর এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গাজায় বন্দী বিনিময় এবং যুদ্ধবিরতির এই চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।

সূত্র : আনাদোলু , আল জাজিরা