মধ্যপ্রাচ্য পত্রিকা

মধ্যপ্রাচ্য অর্ডার করতে ক্লিক করুন

যুদ্ধবিরতির ঘোষণা উপেক্ষা করে গাজায় ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলা, শহীদ ৩০

যুদ্ধবিরতির ঘোষণা উপেক্ষা করে গাজায় ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলা, শহীদ ৩০
যুদ্ধবিরতির ঘোষণা উপেক্ষা করে গাজায় ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলা, শহীদ ৩০। ছবি : আল জাজিরা

যুদ্ধবিরতির ঘোষণা সত্ত্বেও মঙ্গলবার রাতে গাজার বিভিন্ন এলাকায় তীব্র হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। এই হামলায় অন্তত ৩০ জন ফিলিস্তিনি শহিদ হয়েছেন, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। এ নিয়ে বুধবার ভোর পর্যন্ত গাজায় শহীদদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮২ জনে।

মঙ্গলবার রাতের হামলায় গাজার আল-জালা রোড এবং শেখ রেদওয়ান এলাকায় ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। আল-জালা রোডে ইসরায়েলি বিমান হামলায় একটি বাড়ি ধ্বংস হয়। এতে ১৮ জনের মৃত্যু হয়, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছে।

অন্যদিকে, শেখ রেদওয়ান এলাকার একটি আবাসিক এলাকায় চালানো হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ১২ জন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে নিহত শিশুদের হৃদয়বিদারক দৃশ্য প্রকাশ পেয়েছে।

হামলার সময় গাজার বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। উত্তর গাজায় ইসরায়েলি সেনারা ভারী গোলাবর্ষণ চালিয়েছে। আল-আকসা টেলিভিশন জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজার জেইতুন এলাকাও এই গোলাবর্ষণের লক্ষ্যবস্তু ছিলো।

মধ্যরাতে জাবালিয়া এলাকার আল-জারন এবং মাসউদ রোডে ব্যাপক বিমান হামলা চালানো হয়। সেখানে বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার উত্তর ও দক্ষিণের একাধিক ভবন গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ শহরে ড্রোন হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হন। নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরের পশ্চিম প্রান্তেও নৌবাহিনীর গোলাবর্ষণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

এছাড়া, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের কাইজান রাশওয়ান এলাকায় একটি বাড়িতে হামলায় শহিদ হয়েছেন আরও দুইজন এবং আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। রাফা শহরেও ইসরায়েলি সেনাদের গোলাবর্ষণে প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।

উল্লেখ্য, ইসরায়েলের সঙ্গে গাজার যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার কথা আগামী রোববার থেকে। তবে তার আগেই ইসরায়েলি হামলার তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির কার্যকারিতা নিয়ে নতুন করে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্য পত্রিকা