মধ্যপ্রাচ্য পত্রিকা

মধ্যপ্রাচ্য অর্ডার করতে ক্লিক করুন

হামাসের গেরিলা কৌশলে বিপাকে ইসরায়েল

হামাসের গেরিলা কৌশলে বিপাকে ইসরায়েল
হামাসের গেরিলা কৌশলে বিপাকে ইসরায়েল। ছবি : আনাদোলু

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী স্বীকার করেছে উত্তর গাজার বেইত হানুন অঞ্চলে হামাসের সামরিক সক্ষমতা এখনো অক্ষত রয়েছে। সেখানে হামাসের নেতৃত্বেও উল্লেখযোগ্য কোনো ক্ষতি হয়নি। ইসরায়েলি পত্রিকা ইসরায়েল হাইয়োম জানিয়েছে, হামাসের গেরিলা যুদ্ধকৌশল ইসরায়েলি সেনাদের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সোমবার বেইত হানুনে সংঘর্ষ চলাকালে ৫ জন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়। এদের মধ্যে একজন নাহাল ব্রিগেডের ক্যাপ্টেন ছিলেন। গত এক সপ্তাহে বেইত হানুনে নিহত সেনাদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬-তে। পুরো উত্তর গাজায় অক্টোবর থেকে চলমান অভিযানে এখন পর্যন্ত ৫৫ জন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, সোমবার বেইত হানুনে একটি ভবনের বিস্ফোরণে ৫ জন সেনা নিহত এবং ৮ জন গুরুতর আহত হন। তবে ইসরায়েল হাইয়োম-এর প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ওই ঘটনায় ১৩ জন সেনার মৃত্যু হয়, যা মূলত সেনাবাহিনীর নিজস্ব ভুলের কারণে ঘটে, শত্রুপক্ষের হামলার কারণে নয়।

পত্রিকাটি এক রিজার্ভ সেনা কর্মকর্তার বক্তব্য তুলে ধরেছে, যিনি ২০২৩ সালের অক্টোবরের প্রথম স্থল অভিযানে বেইত হানুনে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সেসময় শহরটি পুরোপুরি ধ্বংস করেছিলাম এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাও ধ্বংস হয়েছিল। সেই অভিযানে আমাদের মাত্র একজন সেনা নিহত হয়েছিল। কিন্তু এখন বেইত হানুনে সেনাদের মৃত্যুর সংখ্যা ভয়াবহভাবে বেড়েছে।’

হামাসের স্থানীয় নেতৃত্ব এখনো সক্রিয় রয়েছে এবং তারা ছোট ছোট সশস্ত্র দলের মাধ্যমে গেরিলা যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি বাহিনীর পেছনে আক্রমণ করে তারা ধারাবাহিক সফলতা অর্জন করছে।

গত মাসের শেষ দিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বেইত হানুনে একটি বড় আক্রমণ চালায়। এর উদ্দেশ্য ছিল শহরের ফিলিস্তিনি জনগণকে সরিয়ে দেওয়া এবং অবকাঠামো ধ্বংস করা। কিন্তু ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ সত্ত্বেও হামাসের সামরিক শাখা কাসসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, গত তিন দিনে বেইত হানুনে ১০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন এবং আরও অনেক আহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলোও নিশ্চিত করেছে যে সাম্প্রতিক সময়ে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের পরিচালিত রিমোট কন্ট্রোল বিস্ফোরণ এবং সশস্ত্র হামলায় ইসরায়েলি সেনাদের ক্ষতি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

মধ্যপ্রাচ্য পত্রিকা