মধ্যপ্রাচ্য পত্রিকা

মধ্যপ্রাচ্য অর্ডার করতে ক্লিক করুন

২০২৪ সালে মসজিদুল আকসায় হামলাকারীর সংখ্যা রেকর্ড বৃদ্ধি: আল-আজহার

২০২৪ সালে মসজিদুল আকসায় হামলাকারীর সংখ্যা রেকর্ড বৃদ্ধি: আল-আজহার
২০২৪ সালে মসজিদুল আকসায় হামলাকারীর সংখ্যা রেকর্ড বৃদ্ধি: আল-আজহার। ছবি : আরটি

মসজিদুল আকসায় ২০২৪ সালে হামলাকারীদের সংখ্যা অতীতের যেকোনো বছরের তুলনায় সর্বোচ্চ রেকর্ড করেছে। আল-আজহারের আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এ বছর মসজিদটিতে জোরপূর্বক প্রবেশকারীর সংখ্যা ৫৮ হাজারে পৌঁছেছে। যা ২০২৩ সালের ৫১ হাজার ৪৮৩ জনের তুলনায় ১৩ শতাংশ বেশি।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এই আক্রমণগুলো পরিকল্পিত এবং এর পেছনে চরমপন্থী নেতাদের প্রত্যক্ষ মদদ রয়েছে। মসজিদে হামলাকারীরা কথিত ‘হাইকালের সংগঠনগুলোর’ আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রবেশ করে এবং সেখানে সাম্প্রদায়িক সহিংস কর্মকাণ্ড চালায়।

পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র আরও জানিয়েছে, মসজিদুল আকসায় এই পরিকল্পিত হামলার মাধ্যমে ইসরায়েল গাজা ও পশ্চিম তীরে তাদের চলমান অপরাধগুলো থেকে দৃষ্টি সরানোর চেষ্টা করছে। ২০২৪ সালের শুরু থেকেই মসজিদে হামলার হার ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ঘটনাগুলোকে মসজিদটিকে ধীরে ধীরে ইহুদি ধর্মীয় স্থানে রূপান্তরের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

আল-আজহারের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েল মসজিদুল আকসাকে সময় ও স্থানের ভিত্তিতে বিভক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে, যার লক্ষ্য একে সম্পূর্ণভাবে একটি ইহুদি ধর্মীয় স্থানে পরিণত করা।

প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, এই পরিকল্পনাগুলো আন্তর্জাতিক সমর্থন পাচ্ছে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু ইভানজেলিক খ্রিস্টান গোষ্ঠীর কাছ থেকে। পাশাপাশি ইসরায়েলের বর্তমান সরকারও এসব হামলাকে সক্রিয়ভাবে উৎসাহিত করছে।

আল-আজহার সতর্ক করে বলেছে, মসজিদুল আকসার ইসলামী পরিচয় মুছে ফেলার এই প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক শক্তিগুলোর একযোগে কাজ করা অত্যন্ত জরুরি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মসজিদুল আকসা এখন একটি সুপরিকল্পিত ধর্মীয় হামলার মুখে, যার উদ্দেশ্য মুসলমানদের কাছ থেকে এটি ছিনিয়ে নিয়ে নতুন বাস্তবতা চাপিয়ে দেওয়া। এই পদক্ষেপ বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের গভীরভাবে আহত করবে।

মধ্যপ্রাচ্য পত্রিকা