গাজায় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের দায়ে ইসরায়েলি সেনাদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী ৫০টি মামলা দায়ের করেছে ফিলিস্তিনের সমর্থক বিভিন্ন সংগঠন। ইসরায়েলের সম্প্রচার সংস্থা একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই মামলাগুলোর মধ্যে ১০টির তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি সেনাদের আন্তর্জাতিকভাবে বিচারের আওতায় আনার প্রচেষ্টা বাড়ছে। ফিলিস্তিনপন্থী সংগঠনগুলো বিভিন্ন দেশের স্থানীয় আদালতে এই মামলাগুলো দায়ের করেছে।
ইসরায়েলের সংবাদপত্র হারেৎজ জানিয়েছে, মামলাগুলোর তদন্তে দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, বেলজিয়াম, ফ্রান্স এবং ব্রাজিলের মতো দেশ জড়িত।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মামলাগুলো বিশেষত সেই সব সেনাদের লক্ষ্য করে করা হয়েছে যাদের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে। এতে সেনাদের ভ্রমণ পরিকল্পনায় আইনি ঝুঁকির বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
সেনাবাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন প্রায় এক মিলিয়ন ছবি ও ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করছেন সেনারা। এসব সামগ্রী তাদের যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার হতে পারে।
যদিও ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কোনো নির্দিষ্ট দেশে ভ্রমণে আনুষ্ঠানিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি, তবে ঝুঁকিপূর্ণ কিছু ক্ষেত্রে সেনাদের সতর্ক করা হচ্ছে। বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশে দ্বৈত নাগরিকত্বধারী সেনাদের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া, নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেনাদের ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেনাদের সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয়তা কমানোর পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকজন সেনা গ্রেপ্তার এড়াতে সক্ষম হন। তাদের সময়মতো সতর্ক করে ওই দেশ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়, যেখানে তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় সংস্থাগুলো মামলা দায়ের করেছিল।
গাজায় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের তথ্যপ্রমাণ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। গত ১৫ মাসে ইসরায়েলি সেনারা বহু ছবি ও ভিডিও শেয়ার করেছেন, যেখানে নির্যাতন, হত্যাকাণ্ড এবং আবাসিক ভবন ধ্বংসের মতো ঘটনা স্পষ্ট হয়েছে।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি
