গাজা উপত্যকায় ২০২৪ সালে দখলদার ইসরায়েলের হামলায় পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ৯৬৬টি মসজিদ ধ্বংস হয়েছে। একই সময়ে মসজিদুল আকসায় ২৫৬ বার আক্রমণ চালানো হয় এবং পশ্চিম তীরের ইবরাহিমি মসজিদে আজান বন্ধসহ নানা অবমাননাকর কর্মকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
রোববার ফিলিস্তিনের ধর্মীয় বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে গাজায় ৮১৫টি মসজিদ পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে এবং ১৫১টি মসজিদ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ১৯টি কবরস্থান পুরোপুরি ধ্বংস করা হয় এবং ৩টি গির্জাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মসজিদুল আকসায় ধারাবাহিক আক্রমণ
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে ইসরায়েলি অবৈধ নাগরিকদের নেতৃত্বে ২৫৬ বার মসজিদুল আকসা ও এর চত্বরে প্রবেশ করা হয়েছে। সেখানে ধর্মীয় আচার পালনের নামে তালমুদিক প্রথা অনুযায়ী নাচ-গান এবং ইয়াহুদিদের ‘সাজদাহ’ প্রথার মতো কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলের চরমপন্থী জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গাভির ২০২৪ সালে ৭ বার মসজিদুল আকসায় প্রবেশ করেন।
ইহুদি ধর্মীয় উৎসব ‘হানুকা’ উপলক্ষে ২৫৬৭ জন ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী মসজিদুল আকসায় প্রবেশ করেন। তারা সেখানে নানাবিধ অনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন, যা মসজিদের পবিত্রতা লঙ্ঘন করেছে।
ইবরাহিমি মসজিদে আজান বন্ধ
পশ্চিম তীরের হেবরনে অবস্থিত ইবরাহিমি মসজিদেও ইসরায়েলের অবমাননাকর কর্মকাণ্ডের তথ্য উঠে এসেছে। ২০২৪ সালে মসজিদটিতে ৬৭৪ বার আজান বন্ধ করে দেয় ইসরায়েলি বাহিনী। একই সময়ে ১০ বার মসজিদটি পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ওই বছর ৩৩৮১ জন ইসরায়েলি সেনা ইবরাহিমি মসজিদে প্রবেশ করে। মসজিদের পবিত্রতা লঙ্ঘনের পাশাপাশি এটি মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত বলে দাবি করা হয়েছে।
পশ্চিম তীরের মসজিদে হামলা
পশ্চিম তীরের বিভিন্ন অঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনী ২০টি মসজিদ আংশিক ধ্বংস করেছে। এছাড়া এসব মসজিদে বিভিন্ন লেখা লিখে ইসলামিক ধর্মীয় আচার-আচরণ নিয়ে ব্যঙ্গ করেছে তারা।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি
