সুদানের রাজধানী খার্তুম এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় উত্তর দারফুরে র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) গোলাবর্ষণে অন্তত ৮ জন নিহত এবং ৫৩ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ।
খার্তুম রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত শনিবার আরএসএফ ওমদুরমান ও পূর্ব নীলের আবাসিক এলাকায় হামলা চালায়। এতে ৪ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ৪৩ জন আহত হয়েছেন। আহতদের তিনটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। হামলার মূল লক্ষ্য ছিল ওমদুরমানের কররি এবং খার্তুম রাজ্যের পূর্ব নীল এলাকা।
এদিকে, উত্তর দারফুর রাজ্যের রাজধানী এল ফাশেরে আরএসএফ বাহিনীর গোলাবর্ষণে আরও ৪ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছেন বলে সেনাবাহিনীর ষষ্ঠ পদাতিক ডিভিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সুদানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, শনিবার আরএসএফ বাহিনী এল ফাশেরে অবস্থিত সৌদি হাসপাতালকে ১৪তম বারের মতো হামলার লক্ষ্যবস্তু বানায়। এ হামলায় একজন নিহত এবং হাসপাতালের দুই কর্মী আহত হয়েছেন।
সুদানের বিভিন্ন অঞ্চলে সেনাবাহিনী ও আরএসএফ বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সেনাবাহিনী কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু এলাকা পুনর্দখল করে আরএসএফ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ সীমিত করেছে। এক সপ্তাহ আগে সেনাবাহিনীর এক সূত্র জানিয়েছিল, তারা খার্তুম বাহরির কিছু এলাকায় প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছে। এতে আরএসএফ বাহিনী পিছু হটে হাল্লা হামাদ এবং শাবিয়া এলাকায় অবস্থান নেয়।
মে মাস থেকে আরএসএফ বাহিনী এল ফাশের শহর অবরুদ্ধ করে রেখেছে এবং শহরটি দখল করার জন্য একাধিক হামলা চালিয়েছে। তবে সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভাঙতে তারা ব্যর্থ হয়। সম্প্রতি তারা ‘আল-জুরুক’ নামে কৌশলগত একটি ঘাঁটি হারিয়েছে, যা সেনাবাহিনী এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর যৌথ বাহিনী দখল করে।
আরএসএফকে বারবার আবাসিক এলাকা, হাসপাতাল এবং শরণার্থী শিবিরে হামলার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হলেও তারা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সেনাবাহিনী ও র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের মধ্যে সংঘর্ষে দেশটিতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩০ হাজার মানুষ নিহত এবং ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো জানিয়েছে।
সূত্র: আল-জাজিরা ও অন্যান্য সংবাদ সংস্থা