গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালের পরিচালক ড. হুসাম আবু সাফিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স ক্লাব। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তার আটক হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছে, তারা তার কোনো তথ্য সংরক্ষণ করেনি।

সংগঠনটি জানায়, ‘ড. আবু সাফিয়া গত ২৭ ডিসেম্বর আটক হন বলে স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে। তবে ইসরায়েল এখন সেই তথ্য অস্বীকার করছে। ভিডিও, ছবি এবং মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের সাক্ষ্য থাকা সত্ত্বেও তারা এ দাবি অগ্রাহ্য করছে।’
বন্দি ক্লাব আরও জানায়, মানবাধিকার সংগঠন ‘অর্থোপেডিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস’ ড. আবু সাফিয়ার পরিবারের পক্ষে তার সঙ্গে আইনজীবীর সাক্ষাতের আবেদন করে। তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ড. আবু সাফিয়ার আটক হওয়ার কোনো রেকর্ড নেই। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই সংগঠনটি আদালতে জরুরি আবেদন করেছে।
ড. আবু সাফিয়া হলেন অন্তত ৩২০ চিকিৎসাকর্মীর একজন, যারা ইসরায়েলের তথাকথিত ‘গণহত্যা যুদ্ধ’-এর সময় আটক হয়েছেন। প্রিজনার্স ক্লাব জানিয়েছে, এই যুদ্ধের সময় হাসপাতাল ধ্বংস এবং চিকিৎসকদের আটক করা ইসরায়েলি নীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতোমধ্যে গাজার তিন চিকিৎসক—ইয়াদ আল-রান্তিসি, আদনান আল-বরশ এবং জিয়াদ আল-দালু শহীদ হয়েছেন।
প্রিজনার্স ক্লাব ইসরায়েলকে ড. আবু সাফিয়ার নিরাপত্তার সম্পূর্ণ দায়ভার নিতে বলেছে। তারা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে আহ্বান জানিয়েছে, যুদ্ধাপরাধ প্রতিরোধে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২৭ ডিসেম্বর গভীর রাতে ইসরায়েলি সেনারা কামাল আদওয়ান হাসপাতাল ঘিরে ফেলে। কয়েক ঘণ্টা অবরোধের পর তারা হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগ পুড়িয়ে দেয় এবং রোগী ও চিকিৎসাকর্মীদের উপর অকথ্য নির্যাতন চালায়। এ সময় অনেককে আটক করা হয়, অন্যদের তীব্র শীতে জোরপূর্বক বের করে দেওয়া হয়।
প্রিজনার্স ক্লাবের মতে, ইসরায়েলের এই কার্যক্রম গণহত্যারই অংশ। তারা আশা প্রকাশ করেছে, আন্তর্জাতিক আদালত ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো দ্রুত এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।
সূত্র: আরটি