গাজার উত্তরাঞ্চলে জাবালিয়া এলাকায় ইসরায়েলের ৫টি মেরকাভা ট্যাংক ধ্বংস করার দাবি করেছে হামাসের সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেড। শুক্রবার একাধিক বিস্ফোরক দিয়ে এ হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
কাসসাম ব্রিগেড তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানায়, ‘পূর্ব জাবালিয়ায় ইসরায়েলি সেনাদের অগ্রগমন থামাতে কাসসাম ব্রিগেডের যোদ্ধারা চারটি মেরকাভা ট্যাংক শক্তিশালী বিস্ফোরক দিয়ে ধ্বংস করেছে।’
আরেকটি বিবৃতিতে কাসসাম জানায়, জাবালিয়ার পশ্চিমে সাফতাওই সড়কের কাছে একটি মেরকাভা ট্যাংক ‘শুয়াজ’ নামক বিস্ফোরক দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
এদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী শুক্রবার গাজার উত্তরাঞ্চলের একমাত্র কার্যকর হাসপাতাল, ইন্দোনেশীয় হাসপাতালটি অবরোধ করে রেখেছে। হাসপাতালটি বাইত লাহিয়ায় অবস্থিত এবং এর চারপাশে সেনাবাহিনী গোলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে। ভেতরে বেশ কয়েকজন শিশু, নারী ও রোগী আটকা পড়েছে বলে জানা গেছে।
ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করেছে, হামাস জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে পরাজিত হয়েছে এবং সেখানে অভিযান শেষ পর্যায়ে রয়েছে। তবে এই ধরনের দাবি নতুন নয়। ২০২৩ সালে ইসরায়েলের ১৬২তম ডিভিশনের কমান্ডার ইৎসিক কোহেনও জাবালিয়ায় হামাসকে পরাজিত করার দাবি করেছিলেন। তবে পাঁচ মাস পর ২০২৪ সালের মে মাসে ইসরায়েল জাবালিয়ায় আরেকটি অভিযান চালায়। সর্বশেষ, গত অক্টোবরে ইসরায়েল ওই এলাকায় বড় ধরনের অভিযান পরিচালনা করে।
ইসরায়েলি সেনারা উত্তর গাজার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত মালপত্র নেওয়ার অনুমতিও দেওয়া হয়নি। এমনকি শরণার্থীদের পোশাকও ফেলে যেতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে তীব্র শীত ও ঝড়বৃষ্টির কারণে চরম দুর্ভোগে রয়েছে স্থানীয়রা। মানবাধিকার সংস্থাগুলো জানিয়েছে, গাজার শরণার্থীদের শীতবস্ত্রের তীব্র সংকট রয়েছে।
ইসরায়েলের এ অভিযানের কারণে জাবালিয়া ও গাজার উত্তরের অন্যান্য এলাকা থেকে গাজা শহরের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়া, কামাল আদওয়ান হাসপাতাল পুনরায় চালু করতে না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
সূত্র: আরটি