ইয়েমেন থেকে ছোড়া একটি রকেট ইসরায়েলের আকাশসীমা ভেদ করার পর শুক্রবার ভোরে আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে ছুটতে গিয়ে উক্ত রকেটেই ১২ জন ইসরায়েলি আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, রকেটটি আটকানো হয়েছে, তবে এর টুকরো মোদিইন শহরের কাছে পড়ে বেশ কিছু ক্ষতি হয়েছে।
ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম ‘কান’ জানিয়েছে, রকেট হামলার সময় তেল আবিব, ভূমধ্যসাগরের উপকূলীয় অঞ্চল এবং জেরুজালেমে সাইরেন বেজে ওঠে। স্থানীয় বাসিন্দারা জেরুজালেম এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। এই ঘটনায় ৯ জন আতঙ্কে ভুগেছেন বলেও জানা গেছে।
ইসরায়েলের গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা মহল চাপে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে হুথিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান চালানো হলেও তারা হামলা অব্যাহত রেখেছে।
২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে, গাজা উপত্যকার প্রতি সংহতি জানিয়ে হুথি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে ইসরায়েলি বা সংশ্লিষ্ট জাহাজ লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা শুরু করে।
ইসরায়েলের এসব হামলার প্রতিশোধ নিতে ২০২৪ সালের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য ইয়েমেনে হুথিদের অবস্থানে বিমান হামলা এবং ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। এতে বেশ কিছু প্রাণহানি ও অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে।
হুথি বিদ্রোহীরা পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সব জাহাজ তাদের সামরিক লক্ষ্যবস্তু এবং তাদের অস্ত্র যেখানে পৌঁছাবে, সেখানেই হামলা চালানো হবে। তারা মাঝেমধ্যে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলাও চালিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী, মার্কিন সমর্থনে, কথিত ‘সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান’ চালালেও এটি কার্যত গণহত্যায় পরিণত হয়েছে। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত প্রায় ১,৫৪,০০০ জন ফিলিস্তিনি হতাহত হয়েছেন। এর ভিতরে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। প্রায় ১১,০০০ জন এখনও নিখোঁজ।
সূত্র : আনাদোলু