মধ্যপ্রাচ্য পত্রিকা

মধ্যপ্রাচ্য অর্ডার করতে ক্লিক করুন

ইসরায়েলি সেনাদের মাঝে বাড়ছে আত্মহত্যার হার

ইসরায়েলি সেনাদের মাঝে বাড়ছে আত্মহত্যার হার
ইসরায়েলি সেনাদের মাঝে বাড়ছে আত্মহত্যার হার। ছবি : আনাদোলু

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজায় চলমান যুদ্ধের সময় থেকে সেনাবাহিনীতে আত্মহত্যার ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ২৮ জন সেনা ‘আত্মহত্যা’ ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন।

সেনাবাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে আত্মহত্যা ঘটনায় ২১ জন সেনার মৃত্যু হয়েছে, যা ২০২৩ সালের তুলনায় অনেক বেশি। ২০২৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ১৭। তার মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর মাত্র তিন মাসে আত্মহত্যা করেন ৭ জন সেনা।

যুদ্ধ শুরুর দিন, ৭ অক্টোবর, হামাসের আকস্মিক হামলায় ৩২৯ জন সেনা নিহত হয়। পরবর্তীতে ৮৯১ জন নিয়মিত, স্থায়ী এবং রিজার্ভ সেনা নিহত হন এবং ৫৫৬৯ জন আহত হন।

২০২৩ সালে ৫৫৮ জন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ৫১২ জন যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণ হারান। এছাড়া ১৬ জন দুর্ঘটনায়, ১০ জন অসুস্থতায় এবং ৩ জন শত্রু হামলায় নিহত হয়।

২০২৪ সালে ৩৬৩ জন সেনা নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ২৯৫ জন যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণ হারায়, ২৩ জন দুর্ঘটনায় এবং ১৩ জন অসুস্থতায় মারা যায়। ওই বছর আত্মহত্যার ঘটনায় মৃত্যু হয় ২১ জনের।

সেনাবাহিনী আত্মহত্যা রোধে মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তার জন্য ২৪ ঘণ্টার হেল্পলাইন চালু করেছে এবং মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সংখ্যা বাড়িয়েছে।

যদিও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী প্রতিদিন নিহত ও আহতদের সংখ্যা প্রকাশ করে, তবে প্রকৃত পরিসংখ্যান গোপন করার অভিযোগ রয়েছে।

উল্লেখ্য ইসরায়েলি অভিযানে গাজায় এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৫৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি হতাহত হয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। প্রায় ১১ হাজার মানুষ এখনও নিখোঁজ। খাদ্য সংকট এবং অবরোধের ফলে বহু শিশু ও বৃদ্ধ মারা গেছেন। এই অভিযানকে বিশ্বে অন্যতম মানবিক বিপর্যয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এদিকে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গালান্তের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেও ইসরায়েল তার অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

মধ্যপ্রাচ্য পত্রিকা