২০২৪ সালে ৮২ হাজারেরও বেশি ইসরায়েলি দেশ ছেড়েছেন। মঙ্গলবার দেশটির কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান অফিস এ তথ্য জানিয়েছে।
এক প্রতিবেদনে পরিসংখ্যান অফিস জানায়, ‘২০২৪ সালে ৮২ হাজার ৭০০ বাসিন্দা ইসরায়েল ছেড়ে চলে গেছেন এবং একই সময়ে ২৩ হাজার ৮০০ জন ফিরে এসেছেন।’
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের শেষে ইসরায়েলের জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ২৭ হাজারে। এর মধ্যে ৭৭ লাখ ইহুদি, ২১ লাখ আরব ইসরায়েলি (অভ্যন্তরীণ ফিলিস্তিনি), এবং ২ লাখ ১৬ হাজার বিদেশি।
প্রতিবেদনে বলা হয় দিন দিন ইসরায়েলে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমে যাচ্ছে ‘২০২৪ সালে ইসরায়েলের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ১ দশমিক ১ শতাংশ, যা ২০২৩ সালের ১ দশমিক ৬ শতাংশের তুলনায় কম।’
২০২৪ সালে দেশটিতে প্রায় ১ লাখ ৮১ হাজার শিশুর জন্ম হয়েছে। এর মধ্যে ৭৬ শতাংশ শিশু ইহুদি বা অন্যান্য সম্প্রদায়ের মায়েদের এবং ২৪ শতাংশ শিশু আরব মায়েদের গর্ভজাত।
দেশত্যাগের নির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করা হয়নি। তবে ইসরায়েলি গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, লেবানন, গাজা ও ইয়েমেন থেকে রকেট হামলাসহ সাম্প্রতিক নিরাপত্তাহীনতাই এই প্রবণতার বড় কারণ হতে পারে।
২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর লেবাননের সঙ্গে ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলা শুরু হয়। এরপর ২৩ সেপ্টেম্বর এই সংঘাত ব্যাপক আকার ধারণ করে। গত ২৭ নভেম্বর একটি নাজুক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। যদিও ইসরায়েল এই যুদ্ধ বিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে একের পর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েলের দিকে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ছে। পাশাপাশি লোহিত সাগরে ইসরায়েলি বা তাদের মিত্র জাহাজ লক্ষ্য করেও হামলা চালানো হয়েছে।
অন্যদিকে, গাজা থেকে ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী বসতিগুলোর দিকে রকেট ছোড়ার ঘটনাও নিয়মিত ঘটছে।
উল্লেখ্য ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গাজায় চালানো অভিযানে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে। মার্কিন সমর্থনে চালানো এই অভিযানে প্রায় ১ লাখ ৫৪ হাজার ফিলিস্তিনি হতাহত হয়েছেন। এর মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু। নিখোঁজ রয়েছেন ১১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।
এ ছাড়া, ধ্বংসযজ্ঞ ও দুর্ভিক্ষে বহু শিশু ও বৃদ্ধ প্রাণ হারিয়েছেন। এটি আধুনিক সময়ের অন্যতম ভয়াবহ মানবিক সংকট বলে মনে করা হচ্ছে।
ইসরায়েল জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের যুদ্ধ বন্ধের নির্দেশ এবং আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের গণহত্যা প্রতিরোধের আদেশ উপেক্ষা করেই এই অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি











