মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সিরিয়ার সংঘাত একটি নতুন মোড় নিয়েছে। আলেপ্পোর পর স্বাধীনতাকামীদের দখলে এবার হামা শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলো চলে যাওয়ার দাবি করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে চলমান এই সংঘর্ষে আসাদ সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা অঞ্চলে স্বাধীনতাকামীদের ক্রমবর্ধমান প্রভাব এক নতুন সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিদ্রোহীদের এ অগ্রযাত্রা শুধু সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিকেই নয়, পুরো অঞ্চলের ভূরাজনীতিক অবস্থানকেও নাড়িয়ে দিচ্ছে।
সিরিয়ার স্বাধীনতাকামী বাহিনী দাবি করেছে, তারা হামা সামরিক বিমানবন্দর এবং পুলিশের সদর দপ্তরসহ বেশ কয়েকটি কৌশলগত এলাকা নিজেদের দখলে নিয়েছে। এছাড়া হামার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে শতাধিক বন্দিকে মুক্ত করার কথাও জানিয়েছে তারা। স্বাধীনতাকামী নেতা আবু মুহাম্মদ আল জোলানি এ ঘটনাকে প্রতিশোধ নয় বরং একটি কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
স্বাধীনতাকামীদের মতে, সরকারি বাহিনীর অনেক সদস্য শহর থেকে পালিয়ে গেছে। ফলে হামার পূর্বাঞ্চলীয় আকিরবাতসহ আশপাশের এলাকাগুলোও স্বাধীনতাকামীদের নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।
সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামার সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থেই সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে তারা স্পষ্ট করে জানিয়েছে, এই অঞ্চল পুনরুদ্ধারের জন্য তারা আবার ফিরে আসবে।
অন্যদিকে সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দামেস্কের আকাশে দুটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে সিরিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
উল্লেখ্য, ২৭শে নভেম্বর থেকে স্বাধীনতাকামীরা সিরিয়ার বিভিন্ন এলাকায় সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত রয়েছে। আলেপ্পো এবং ইদলিবের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর এবার হামা শহরে তাদের অগ্রসর হওয়া আসাদ সরকারের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বাধীনতাকামীদের শক্ত অবস্থান পুরো সিরিয়ায় একটি নতুন পরিস্থিতির সূচনা করতে পারে
