ইসরায়েলি বাহিনীর পরিকল্পিত অভিযানে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সাবেক রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়া তেহরানে শাহাদাত বরণ করেন। এই হত্যাকাণ্ড ঘিরে ইসরায়েলের দাবি এবং হামাসের পাল্টা বিবৃতি এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
ইসরায়েলের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ১২ সম্প্রতি জানিয়েছে, গত ৩১ জুলাই ইরানের রাজধানী তেহরানে হানিয়াকে হত্যার জন্য একটি নিখুঁত দূরনিয়ন্ত্রিত বোমা ব্যবহার করা হয়। নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানের পর হানিয়ার ঘরে এই বোমা স্থাপন করা হয়। ইসরায়েলি গোয়েন্দারা দীর্ঘদিন ধরে হানিয়ার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে নিশ্চিত হয় তিনি নির্দিষ্ট একটি ঘরে অবস্থান করছেন।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ গত ২৩ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেন। এর আগে, ২৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও এই হত্যার দায় স্বীকার করেন।
তবে হামাস ইসরায়েলের এই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে একে মিথ্যা ও প্রকৃত সত্য আড়াল করার প্রচেষ্টা বলে আখ্যা দিয়েছে। গতকাল রবিবার এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, তাদের নিরাপত্তা সংস্থা ও ইরানি নিরাপত্তা বিভাগের যৌথ তদন্তে উঠে এসেছে হানিয়াকে একটি নির্ভুল লক্ষ্যভেদী ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে
শহিদ করা হয়। ক্ষেপণাস্ত্রটি ৭.৫ কেজি বিস্ফোরকসহ সরাসরি হানিয়ার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনকে টার্গেট করে আঘাত হানে।
হামাসের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই হত্যাকাণ্ড ইরানের সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি আঘাত এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। ইসরায়েলের প্রচারিত তথ্য কেবল দৃষ্টি ভিন্ন দিকে সরানোর একটি প্রচেষ্টা।
উল্লেখ্য, ইসমাইল হানিয়া তেহরানে ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টের মাসুদ পেজেশকিয়নের অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গিয়ে শহিদ হন। ইসরায়েলের বিভিন্ন গণমাধ্যম হানিয়া হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে নানা তথ্য প্রকাশ করেছে, তবে হামাস অধিকাংশ তথ্যই প্রত্যাখ্যান করেছে।
সূত্র: আনাদোলু, আল-মায়াদিন
