মধ্যপ্রাচ্য পত্রিকা

মধ্যপ্রাচ্য অর্ডার করতে ক্লিক করুন

তিন মাসে গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালে ইসরায়েলের ৫০ হামলা

তিন মাসে গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালে ইসরায়েলের ৫০ হামলা
কামাল আদওয়ান হাসপাতাল। ছবি : টিআরটি অ্যারাবিক

উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতাল এবং আশপাশের এলাকায় গত তিন মাসে অন্তত ৫০ বার হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) শনিবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, ‘অক্টোবর ২০২৪ থেকে শুরু করে কামাল আদওয়ান হাসপাতাল বা তার আশপাশে অন্তত ৫০টি হামলার ঘটনা ঘটেছে।’

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, শুক্রবারের একটি হামলায় উত্তর গাজার সর্বশেষ সচল হাসপাতালটি পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে পড়ে। ওই হাসপাতাল থেকে আর কোনো সেবা দেওয়া সম্ভব নয় বলে সূত্র জানিয়েছে। ডব্লিউএইচও এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, ৮০ দিনের বেশি সময় ধরে চলমান অবরোধ এবং গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ধ্বংসযজ্ঞের কারণে উত্তর গাজার ৭৫ হাজার ফিলিস্তিনির জীবন এখন চরম হুমকির মুখে।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবারের হামলার পর ইসরায়েলি বাহিনী কামাল আদওয়ান হাসপাতালে আগুন ধরিয়ে দেয়। হামলার সময় সেখানে থাকা ৩৫০ জনের বেশি মানুষকে আটক করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ১৮০ জন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী, ৭৫ জন আহত ব্যক্তি এবং তাঁদের সঙ্গীরা ছিলেন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ৫ অক্টোবর ২০২৪ থেকে উত্তর গাজায় সামরিক অবরোধ শুরুর পর থেকে কামাল আদওয়ান হাসপাতাল বারবার হামলার শিকার হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী হাসপাতালটিকে ‘সামরিক লক্ষ্যবস্তু’ হিসেবে বিবেচনা করছে।

গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বর্তমানে কার্যত ভেঙে পড়েছে। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্টের অ্যাম্বুলেন্স এবং সিভিল ডিফেন্সের কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে গেছে।

সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে ইসরায়েলের চালানো হামলায় এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৫৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি হতাহত হয়েছেন। নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এ ছাড়া ১১ হাজারের বেশি মানুষ এখনও নিখোঁজ।

গাজায় চলমান ধ্বংসযজ্ঞ, খাদ্যসংকট এবং মানবিক সহায়তার অভাবে বহু শিশু ও বৃদ্ধ মারা যাচ্ছেন। ডব্লিউএইচও একে বিশ্বের অন্যতম ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় হিসেবে অভিহিত করেছে।

মধ্যপ্রাচ্য পত্রিকা