মধ্যপ্রাচ্য পত্রিকা

মধ্যপ্রাচ্য অর্ডার করতে ক্লিক করুন

সুদানের আশ্রয়কেন্দ্রে আধাসামরিক বাহিনীর হামলায় ২১ জন নিহত

সুদানের উত্তর দারফুরের এল ফাশারে বাস্তুচ্যুত মানুষের আশ্রয়কেন্দ্রে র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) ড্রোন হামলায় অন্তত ২১ জন নিহত ও ১৭ জন আহত হয়েছেন
সুদানের উত্তর দারফুরের এল ফাশারে বাস্তুচ্যুত মানুষের আশ্রয়কেন্দ্রে র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) ড্রোন হামলায় অন্তত ২১ জন নিহত ও ১৭ জন আহত হয়েছেন। ছবি : এফপি

সুদানের উত্তর দারফুরের এল ফাশারে বাস্তুচ্যুত মানুষের আশ্রয়কেন্দ্রে র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) ড্রোন হামলায় অন্তত ২১ জন নিহত ও ১৭ জন আহত হয়েছেন বলে শনিবার একটিভিস্টরা জানিয়েছেন। আনাদোলু এজেন্সি এই তথ্য দিয়েছে।

‘আরএসএফ-এর একটি ড্রোন কোউজ বাইনা স্কুলে হামলা চালিয়েছে, যেখানে বিপুল সংখ্যক বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। এতে ২১ জন নিহত এবং ১৭ জন আহত হয়েছেন। এল ফাশার কো-অর্ডিনেশন অব রেজিস্ট্যান্স কমিটি এই তথ্য জানিয়েছে। এই সংগঠন যুদ্ধবিধ্বস্ত মানুষের সহায়তায় কাজ করছে।

অন্য এক ঘটনায়, দারফুর বাস্তুচ্যুত ও শরণার্থীদের সাধারণ সমন্বয় কমিটি জানিয়েছে যে, আরএসএফ এল ফাশারের আবু শউক শরণার্থী ক্যাম্পে ভারী গোলাবর্ষণ করেছে, যা আরও প্রাণহানির কারণ হয়েছে।

এল ফাশার ১০ মে থেকে সুদানি সেনাবাহিনী এবং আরএসএফ-এর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। এই শহরটি দারফুর অঞ্চলে জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোর মানবিক কার্যক্রমের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

এদিকে, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, উত্তর দারফুরের কাভকাবিয়ার সাম্প্রতিক গোলাবর্ষণের কারণে ৬৫০টি পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়ে শহরসহ রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছে।

২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সেনাবাহিনী এবং আরএসএফ-এর মধ্যে সংঘর্ষে বিধ্বস্ত সুদানে এ পর্যন্ত ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত এবং ১ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে জাতিসংঘ ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্য পত্রিকা