সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বাশার আল-আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে সিরিয়ার নিরীহ জনগণের ওপর একাধিকবার রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের বাস্তব অভিযোগ উঠেছে, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। খান আল-আসাল, পূর্ব ঘৌতা (২০১৩), খান শেইখুন (২০১৭) এবং দৌমা (২০১৮)-এর মতো এলাকায় এসব হামলায় হাজারো নিরপরাধ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। তবুও, এ ধরনের নৃশংস ঘটনার জন্য এখনো কার্যকর কোনো শাস্তি দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেছে স্বাধীন অঞ্চলসমূহের রাজনৈতিক অধিদপ্তর।
স্বাধীন অঞ্চলসমূহের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের কড়া নিন্দা জানানো হয়েছে। তারা জানিয়েছে, রাসায়নিক বা গণধ্বংসাত্মক অস্ত্র ব্যবহারকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাদের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, কোনো পরিস্থিতিতেই তারা এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করবে না বা এর অনুমতি দেবে না।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সিরিয়ান সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন সামরিক অবস্থানগুলোর বিষয়ে তারা সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছে। তারা নিশ্চিত করেছে, এসব অবস্থান কোনো অদায়িত্বশীল গোষ্ঠীর হাতে যাতে না পড়ে, সে বিষয়ে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে সাধারণ মানুষের জীবন রক্ষা এবং অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা বদ্ধপরিকর।
স্বাধীন অঞ্চলসমূহের রাজনৈতিক অধিদপ্তর জানিয়েছে, অস্ত্র ও সংবেদনশীল স্থানগুলোর পর্যবেক্ষণে তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পূর্ণ সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত। ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং নীতিমালা অনুযায়ী মানবজীবনের নিরাপত্তা ও দয়া প্রদর্শন তাদের প্রতিটি কার্যক্রমের ভিত্তি।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, অতীতের বিভীষিকা থেকে শিক্ষা নিয়ে তারা শান্তি, নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। সিরিয়ার জনগণ এবং গোটা অঞ্চলের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যৎ গড়ে তোলাই তাদের প্রধান লক্ষ্য।