মধ্যপ্রাচ্য অর্ডার করতে ক্লিক করুন

যে কারণে বিপুল সংখ্যায় ভারত ছাড়ছেন মুসলিমরা

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুসলিম অভিবাসীদের সবচেয়ে বড় উৎস দেশগুলোর মধ্যে ভারত দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
যে কারণে বিপুল সংখ্যায় ভারত ছাড়ছেন মুসলিমরা
যে কারণে বিপুল সংখ্যায় ভারত ছাড়ছেন মুসলিমরা। ছবি : অ্যারাবিক পোস্ট

ভারতে মুসলমানদের মধ্যে দেশত্যাগের প্রবণতা এখন চোখে পড়ার মতো। মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৫ শতাংশ মুসলিম হলেও, দীর্ঘদিন ধরেই মুসলিমরা বৈষম্য, নিপীড়ন আর নিরাপত্তাহীনতার শিকার। এই পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করেছে যখন থেকে ক্ষমতায় এসেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কট্টর হিন্দুত্ববাদী দল ভারতীয় জনতা পার্টি বিজেপি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই–এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে চলমান বৈষম্য এখন যেন একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ ধারণ করেছে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, কর্মস্থলে বৈষম্য, রাজনীতিকদের প্রকাশ্য উসকানিমূলক বক্তব্য এবং ক্রমবর্ধমান ইসলামবিদ্বেষ এসবই মুসলিমদের মধ্যে বাড়িয়ে তুলেছে তীব্র নিরাপত্তাহীনতা। 

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুসলিম অভিবাসীদের সবচেয়ে বড় উৎস দেশগুলোর মধ্যে ভারত দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। তালিকার শীর্ষে রয়েছে সিরিয়া।

বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অভিবাসী হিসেবে আছেন প্রায় ৬০ লাখ ভারতীয় বংশোদ্ভূত মুসলিম। তারা ভারতের মোট অভিবাসীর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। অর্থাৎ, দেশত্যাগের হার মুসলিমদের মধ্যেই তুলনামূলকভাবে সবচেয়ে বেশি।

ভারতে ইসলাম হলো দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম। দেশটিতে ১৭ কোটিরও বেশি মুসলমানের বসবাস। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলো বাদ দিলে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম জনগোষ্ঠী হিসেবে ভারত শীর্ষে।

ভারতে মুসলিমদের প্রতি বাড়ছে বৈরিতা

২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতের রাজনৈতিক পরিবেশে হিন্দুত্ববাদী জাতীয়তাবাদের প্রভাব উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, বৈষম্যমূলক আইন ও মুসলিমবিরোধী ঘৃণামূলক বক্তব্যের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

এই সময়ে মুসলমানদের সামনে এসেছে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ। গরু জবাইয়ের অভিযোগে বিচারবহির্ভূত হত্যা, ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বিয়ে রোধে অভিযান, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বয়কট, চাকরি ও বাসস্থানের ক্ষেত্রে বৈষম্য—এসব সমস্যা দিন দিন প্রকট থেকে প্রকটতর হয়েছে।

রাজনৈতিক নেতাদের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসলামবিরোধী পোস্টের বিস্তার মুসলিমদের প্রতি ঘৃণাকে আরও উসকে দিয়েছে।

এছাড়া বিভিন্ন সময় মুসলিমদের ইবাদতের স্থান মসজিদ লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। মাদ্রাসাগুলোতে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে, জনজীবনে ইসলামি পরিচয় ও ধর্মীয় চর্চার ওপর চাপও বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।

যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক কমিশন (USCIRF) ২০২৫ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে ভারতকে ‘বিশেষভাবে উদ্বেগজনক দেশ’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করার জন্য মার্কিন সরকারকে সুপারিশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা গুরুতরভাবে এবং পদ্ধতিগতভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে।

মুসলিমদের জন্য ভারতের দৈনন্দিন জীবন হয়ে উঠেছে অনিরাপদ ও অনিশ্চিত। ভারতের সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব ডেভেলপিং সোসাইটিস (CSDS) এবং জার্মানির কনরাড অ্যাডেনাউয়ার ফাউন্ডেশনের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৪৪ শতাংশ মুসলিম তরুণ বলছেন, কেবল ধর্মীয় পরিচয়ের কারণেই তারা বৈষম্যের শিকার হয়েছেন।

একই ধরনের আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, ৪৭ শতাংশ মুসলমান আশঙ্কা করছেন, তাদেরকে সন্ত্রাসবাদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হতে পারে।

আইনজীবী ও ‘মিশকাত প্রকল্প’-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ড. নিয়াজ আহমদ সিদ্দিকী বলেছেন, এটা শুধু অর্থনৈতিক দিক নয়; এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে সামাজিক, রাজনৈতিক ও মানসিক দিকও। ভারতীয় মুসলমানরা এখন ক্রমেই নিজেদেরকে এই দেশের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক বলে মনে করছেন।

নিরাপদ জীবনের খোঁজে 

ভারতের মুসলমানদের মধ্যে হিজরত বা বিদেশে বসতি গড়ার প্রবণতা নতুন কিছু নয়। কেরালা, উত্তর প্রদেশ এবং তেলেঙ্গানার মুসলিম সমাজের উপসাগরীয় দেশগুলোতে কাজের জন্য যাওয়ার বহু পুরনো ইতিহাস রয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে এই হিজরতের ধরন ও উদ্দেশ্য বদলে গেছে।

আগে এই যাত্রা ছিল মূলত অর্থনৈতিক, আর হিজরতও ছিল অস্থায়ী। মানুষ উপার্জনের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে যেত, আবার কিছুকাল পর ফিরে আসত। কিন্তু এখন চিত্র বদলে গেছে। এখন অনেকেই চিরতরে জন্য পাড়ি জমাচ্ছেন, স্থায়ীভাবে বিদেশে বসতি গড়তে চাইছেন।

আইনজীবী সিদ্দিকী বলেন, এখন মুসলিমরা শুধু কাজের জন্য নয়, বরং স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য যাচ্ছে। মুসলিমরা চান, তাদের সন্তানরা যেন নিরাপদ ও সমানাধিকারের সঙ্গে সমাজে বড় হতে পারে। আর ভারতে অধিকাংশ মুসলিমরাই নিজেদের নিরাপদ মনে করেন না।

নিজের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন, কীভাবে প্রতিদিনের জীবনে তাঁকে বঞ্চনার শিকার হতে হয়েছে। কখনও বাসা ভাড়া পেতে অস্বীকৃতি, কখনও দাড়ির কারণে সন্দেহের চোখে দেখা, আবার কখনও রাস্তায় বা প্রকাশ্য স্থানে নামাজ পড়তে গেলে বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। 

ভারতের সাম্প্রদায়িক প্রেক্ষাপট

ভারতের মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে ক্রমবর্ধমান আত্মবিচ্ছিন্নতার অনুভূতি এখন দেশটির সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার কেন্দ্রে রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির উত্থান ও উগ্র জাতীয়তাবাদের বিস্তারের ফলে মুসলিমদের ওপর নিপীড়ন মাত্রা সীমা ছাড়িয়ে গেছে।

হিন্দু জাতীয়তাবাদকে ভিত্তি করে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) যে রাজনীতির চর্চা করছে, তাতে মুসলিমরা দিন দিন আরও বেশি প্রান্তিক ও অনাহূত হয়ে পড়ছেন।

বিজেপি সরকারের সময়ে কয়েকটি আইন ও নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে, যেগুলো স্পষ্টভাবে মুসলিমদের লক্ষ্য করে তৈরি বলে অনেকের মনে হয়। যেমন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA), যেখানে বলা হয়েছে—ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, খ্রিষ্টান ও পার্সি শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে, কিন্তু মুসলিমদের নয়।


আরেকটি বিষয় হলো জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (NRC), যেখানে প্রত্যেককে প্রমাণ করতে হবে যে তারা ভারতের নাগরিক—না হলে দেশছাড়া হওয়ার ঝুঁকি থাকতে পারে। এ ছাড়া অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (UCC) চালুর কথা বলা হচ্ছে, যার মানে হলো সব ধর্মের মানুষকে একই পারিবারিক আইনের আওতায় আনা, ফলে বাতিল হয়ে যেতে পারে মুসলিম পারিবারিক আইন। 

বিজেপি শুধু আইন করেই থেমে থাকেনি, তারা বিভিন্ন উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন যেমন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS), বজরং দল এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মতো গোষ্ঠীগুলোকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে। এই সংগঠনগুলো মুসলিমদের বিরুদ্ধে হত্যা, সহিংসতা, ঘৃণা ও ভয়ভীতি ছড়াতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে। মুসলিমদের আক্রমণকারী, সন্ত্রাসী, বিশ্বাসঘাতক এমনকি ‘গরু হত্যাকারী’ হিসেবে চিহ্নিত করে আসছে ধারাবাহিকভাবে। এমনকি জোর করে বা প্রতারণার মাধ্যমে ধর্মান্তরের চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে।

১৯৯২ সালে ষোড়শ শতাব্দীর ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংস মুসলিমদের জন্য এক রক্তক্ষয়ী ট্র্যাজেডি তে পরিণত হয়। যার ক্ষত এখনো জেগে আছে মুসলিমদের হৃদয়ে। ২০১৯ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এই স্থানের মালিকানা হিন্দুদের পক্ষে রায় দিলে হতাশা আরও ঘনীভূত হয়।

এছাড়া বারানসীর জ্ঞানভাপী মসজিদ বা মথুরার শাহি ঈদগাহ নিয়ে চলমান বিতর্কগুলো দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনায় ঘি ঢালছে। আইনজীবী সিদ্দিকী বলেন, মুঘল ইতিহাস, ইসলামি স্থাপত্য কিংবা মুসলমানদের অস্তিত্ব নিয়ে প্রায় প্রতি সপ্তাহেই কোনো না কোনো বিতর্ক সামনে চলে আসে। 

তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি নিয়ে কঠোর আইন, কিংবা অভিন্ন দেওয়ানি বিধির জন্য চাপ সৃষ্টি—এসব আসলে মুসলিম সমাজের মূল ভিত্তিগুলো দুর্বল করে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই করা হচ্ছে।

তার ভাষায়, সব দিক সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে। একটা ইস্যু মিটতেই নতুন আরেকটা এসে হাজির হয়।

তেলেঙ্গানায় ইয়াসিন ট্রাভেলস নামের একটি ভিসা ও ট্যুর এজেন্সির মালিক খাজা মোহাম্মদ বলেন, আমাদের কাছে আসা কেসগুলোর প্রায় ৩০ শতাংশই মুসলিমদের। তারা ভিসা চায়, বিদেশ যেতে চায়।

তিনি আরও জানান, মুসলিমরা এখন সংযুক্ত আরব আমিরাত ও তুরস্কের মতো দেশগুলোতে বিনিয়োগ করছে, যা আগে দেখা যেত না। এতে স্পষ্টভাবে বোঝা যায়, তারা এখন স্থায়ীভাবে এসব দেশে থেকে যাওয়ার চিন্তা করছেন।

তবে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অপূর্বানন্দ ঝার মতে, এই অভিবাসনের পেছনে কেবল ধর্মীয় কারণই দায়ী নয়। যারা বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন, তাদের অনেকে আর্থিকভাবে সচ্ছল। মুসলিমরা যেমন এই প্রবণতার অংশ, তেমনি অন্য ধর্মাবলম্বী বহু মানুষও রয়েছেন।

তবুও তিনি স্বীকার করেন, বিশেষ করে মুসলিম তরুণদের মধ্যে হতাশা দিন দিন বাড়ছে। অনেকে ভারতের ভবিষ্যৎ নিয়ে আর কোনো আশার আলো দেখছেন না।

ঝা বলেন, স্বাধীনতার পর এই প্রথম দেশের তরুণরা এতটা নিরাশ। অর্থনীতি স্থবির হয়ে আছে, সমাজে ঘৃণার বাতাস বইছে, এমন পরিস্থিতিতে কে-ই বা ভারতে থাকতে চাইবে? মুসলিমরা তো প্রতিনিয়ত নানা বৈষম্যের মুখে পড়ছে।

ফিরে যাওয়ার আশায়

বিদেশে পাড়ি জমালেও অনেক প্রবাসী ভারতীয় মুসলমান মনে করেন, দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ বদলালে তাঁরা আবার ফিরে যাবেন নিজ দেশের মাটিতে।

২০২০ সালে কানাডা পাড়ি দেওয়া তোফিক আহমেদ এখনো সেই আশায় বুক বেঁধে আছেন। বাবা-মা ভারতে, বয়সের ভারে ন্যুব্জ, তাঁদের দেখভালের দায়িত্ব নিতে একদিন ফিরতে চান তিনি। তাঁর ভাষায়, আমি ফিরতে চাই, কারণ বাবা-মা সেখানে। বয়স বাড়লে তাঁদের সেবা-সহায়তা দরকার হবে।

কিন্তু কেন দেশ ছাড়তে হলো ? তোফিক স্পষ্ট করে বলেন, আমার নিজের দেশ নিয়েই পুরোপুরি হতাশ আমি। অসমতা, বর্ণবাদ, নীতিহীন নগর উন্নয়ন সব মিলিয়ে একটা বিকৃত রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে ভারত। তবু হয়তো থেকে যেতাম, কিন্তু একজন মুসলিম হিসেবে সংখ্যালঘুদের প্রতি যেভাবে ঘৃণা বাড়ছে, তা ভয়াবহ। ইসলামোফোবিয়ার মাত্রা অকল্পনীয়ভাবে বেড়ে চলছে।

টরোন্টোতে স্ত্রীসহ বসবাসরত তোফিক জানান, যদি কখনো ফেরেন, তবে উত্তর প্রদেশে ফিরে না গিয়ে হায়দরাবাদ বা চণ্ডীগড়ের মতো তুলনামূলক কিছুটা নিরাপদ কোনো শহরে স্থায়ী হতে চাইবেন। কারণ, বিজেপি শাসিত নিজ রাজ্যে ফিরে যাওয়ার মানে তাঁর কাছে ‘একটা দমনমূলক জীবন বেছে নেওয়া।’

তাঁর মন্তব্য, সেখানে প্রতিদিন সংখ্যাগরিষ্ঠদের যেসব ক্ষুদ্র অথচ ধারাবাহিক বিদ্বেষমূলক আচরণ, তা সহ্য করা ছাড়া উপায় থাকে না।

আইনজীবী সিদ্দিকি মনে করেন, সমঝোতার পথ এখনো খোলা আছে, তবে সেটা সম্ভব কেবল প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও সামাজিক জবাবদিহিতার মাধ্যমে। তাঁর ভাষায়, শুধু মুসলিমদের পক্ষে এই অবস্থা বদলানো সম্ভব নয়। দায়িত্ব নিতে হবে সংখ্যাগরিষ্ঠ, বিচারব্যবস্থা ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকেই।

সিদ্দিকি এ বিষয়ে ভারতের সংবিধান রচয়িতাদের অন্যতম, বি. আর. আম্বেদকরের একটি উদ্ধৃতি টানেন। আম্বেদকর বলেছিলেন সংখ্যালঘুদের আস্থা অর্জন করা সংখ্যাগরিষ্ঠদের নৈতিক দায়িত্ব। সিদ্দিকির মত, এই আস্থা ভেঙে গেছে। এখন সেটি পুনর্গঠন করতে হবে। যদি মুসলিমদের জন্য না-ও হয়, ভারতের নিজের ভবিষ্যতের জন্যও জরুরি ।

সূত্র: ০৭/০৬/২০২৫ তারিখে প্রকাশিত অ্যারাবিক পোস্টের একটি প্রতিবেদন অবলম্বনে প্রস্তুতকৃত।

সর্বশেষ