গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত বিমান হামলায় বুধবার ভোর থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত অন্তত ৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোরে গাজার শেখ রেদওয়ান এলাকায় একটি বাড়িতে বোমা হামলায় এক নারী ও চার শিশুসহ ছয়জন শহীদ হন। এছাড়া খান ইউনুসের কাইজান আল-নাজ্জার এলাকায় আরও দুটি বাড়িতে হামলায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে রয়েছেন এক বৃদ্ধ দম্পতি। জানা গেছে, তাদের ছেলে নিজেই নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের একজন নার্স এবং ডিউটির সময়েই তিনি বাবা-মায়ের মৃত্যুর খবর পান।
রাফাহ শহরে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। দেইর আল বালাহ এলাকায় এক শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলায় দুই নারীসহ তিনজন নিহত হন।
এর আগে বুধবার গাজার শুজাইয়া এলাকায় একটি বাড়িতে হামলায় নয়জন শহীদ হন।
একই দিন গাজার তুফাহ এলাকায় ইয়াফা স্কুলে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে, যেখানে শরণার্থীরা আশ্রয় নিয়েছিলেন। ইসরায়েলি বাহিনী হামলার কথা স্বীকার করে দাবি করেছে, স্কুলে ‘সশস্ত্র ব্যক্তি’ ছিল। ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স জানায়, স্কুল থেকে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আগুনে পুড়ে যায় স্কুলের অধিকাংশ শ্রেণিকক্ষ।
মানবিক সংকট চরমে উঠেছে। নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের পরিচালক ডা. আহমেদ আল-ফারা জানান, গাজার শিশুরা চরম অপুষ্টিতে ভুগছে। ওষুধ, শিশু খাদ্য, চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব এবং খাদ্য সরবরাহ বন্ধ থাকায় পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
জাতিসংঘ, ওয়ানরার মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সতর্ক করে বলছে, গাজা ‘চরম দুর্ভিক্ষের’ দ্বারপ্রান্তে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৬৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত ও আহত হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন ১১ হাজারের বেশি মানুষ।
সুত্র : কুদস নেটওয়ার্ক