আফগান যুদ্ধে মার্কিন বাহিনীর হয়ে কাজ করা হাজারো আফগান নাগরিক এখন যুক্তরাষ্ট্রেই পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছেন—এই আফগানদের যুক্তরাষ্ট্রে থাকার সুযোগ আর নেই। বাতিল করা হয়েছে তাদের অস্থায়ী সুরক্ষা সুবিধা।
রয়টার্স জানিয়েছে, ২০২১ সালের পর যেসব আফগান যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছেন, মূলত তারাই এই কঠোর সিদ্ধান্তের আওতায় পড়েছেন। ট্রাম্পের ভাষায়, ‘তাদের থাকার সময়সীমা অনেক আগেই শেষ হয়েছে।’ ফলে মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই প্রায় ১৭ হাজার আফগান নাগরিককে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে হতে পারে।
তবে এই মানুষগুলো কেবল শরণার্থী নন। তারা সেই সময়কার আফগান সমাজে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে পরিচিত—যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মার্কিন বাহিনীকে তথ্য, অনুবাদ ও সামরিক সহায়তা দিয়েছেন। আজ তাদেরই ফিরতে হতে পারে সেই আফগানিস্তানে—যেখানে প্রতিশোধ, হয়রানি কিংবা প্রাণনাশের আশঙ্কা মাথার ওপরে ঝুলে আছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত কেবল মানবিক দিক থেকেই নির্মম নয়, বরং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি মিত্রদের আস্থাও দুর্বল করে দিচ্ছে। শরণার্থী সহায়তাকারী সংস্থাগুলোর ভাষ্য, এটি নিছক একটি নীতিগত ঘোষণা নয়—বরং এক ধরনের ‘বিশ্বাসঘাতকতা’, যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।
উল্লেখ্য ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই আফগান শরণার্থীদের আবেদন ও মামলা স্থগিত রয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট তদারকি সংস্থাগুলোর কার্যক্রম। একইসঙ্গে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন—সব অবৈধ অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করতেই হবে।
যে কাঁধে ভর করে একসময় যুদ্ধজয়ের গল্প লিখেছিল যুক্তরাষ্ট্র, আজ সেই কাঁধই কাঁপছে অনিশ্চয়তা আর শঙ্কায়।
সূত্র: কেএফ
