মধ্যপ্রাচ্য পত্রিকা

মধ্যপ্রাচ্য অর্ডার করতে ক্লিক করুন

সিরিয়ার শরণার্থীদের দেশে ফেরাতে প্রয়োজন ৩১০ মিলিয়ন ডলার

সিরিয়ার শরণার্থীদের দেশে ফেরাতে প্রয়োজন ৩১০ মিলিয়ন ডলার
সিরিয়ার শরণার্থীদের দেশে ফেরাতে প্রয়োজন ৩১০ মিলিয়ন ডলার। ছবি : ইনাব বালাদি

প্রায় ১০ লাখ সিরীয় শরণার্থীকে নিজ দেশে ফেরাতে ৩১০ মিলিয়ন ডলার সাহায্যের প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। সংস্থাটির মুখপাত্র উইলিয়াম স্পিন্ডলার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে শরণার্থীদের দেশে ফেরানোর উদ্যোগ বাস্তবায়নে এই অর্থ প্রয়োজন হবে।

ইতোমধ্যে ইউএনএইচসিআর সিরিয়ায় কার্যক্রম পুনরায় শুরু করেছে এবং বর্তমানে ৮০ শতাংশ সক্ষমতায় কাজ করতে পারছে। মুখপাত্র স্পিন্ডলার বলেন, বিদেশে আশ্রয় নেওয়া অধিকাংশ সিরীয় শরণার্থী দেশে ফিরতে আগ্রহী। তবে তারা অপেক্ষা করছেন দেশের পরিস্থিতি উন্নতির।

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে কয়েক হাজার সিরীয় দেশে ফিরেছেন ৷ এই সংখ্যা বাড়ছে নিয়মিত। তবে বড় পরিসরে শরণার্থী প্রত্যাবর্তন এখনো শুরু হয়নি। অনেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।’

শরণার্থীদের ফেরার প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে স্পিন্ডলার বলেন, দেশে ফিরে শরণার্থীদের স্থিতিশীল জীবনযাপন নিশ্চিত করতে এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া পুনর্গঠনে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সহায়তা জরুরি। তিনি আরও বলেন, ‘স্থিতিশীল সরকার থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা ফেরত আসা শরণার্থীদের অধিকার নিশ্চিত করবে এবং প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করবে।’

গত ১৩ বছরে প্রায় ৬০ লাখ সিরীয় নাগরিক তুরস্ক, লেবানন, জর্ডান ও ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে। অন্যদিকে দেশের ভেতরেই বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ।

ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, গত দুই সপ্তাহে দেশে ফিরে আসা শরণার্থীর সংখ্যা ২০২৩ সালের মোট প্রত্যাবর্তনের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে। তবে এটি এখনো মোট শরণার্থীর তুলনায় খুবই কম। সংস্থাটির একটি দল সম্প্রতি ইদলিব শহর পরিদর্শন করেছে। সেখানে দেখা গেছে, ফেরত আসা শরণার্থীরা কঠিন পরিস্থিতিতে বাস করছেন। কেউ তাঁবুতে, কেউ ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়িতে, আবার কেউ অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ঘর ভাড়া নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন।

স্পিন্ডলার বলেন, দেশের পুনর্গঠনে প্রবাসী সিরীয়দের মেধা, দক্ষতা ও পরিশ্রম প্রয়োজন। তাদেরই দেশে ফিরে এই কাজে ভূমিকা রাখতে হবে।

জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার প্রধান এমি বব শরণার্থী ফেরানোর পরিকল্পনায় ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘অনিশ্চিত পরিস্থিতির কারণে কিছু মানুষ আবারও বাস্তুচ্যুত হতে বাধ্য হচ্ছেন।’

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শরণার্থীদের দেশে ফেরাতে পরিস্থিতি আরও স্থিতিশীল ও নিরাপদ করা অত্যন্ত জরুরি।

মধ্যপ্রাচ্য পত্রিকা