সিরিয়ায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা উসকে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাশার আল-আসাদপন্থীদের বিরুদ্ধে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সম্প্রতি একটি ভিডিওতে আলাওয়ি সম্প্রদায়ের একজন ধর্মগুরুর মাজারে অগ্নিকাণ্ডের ভিডিও প্রকাশ করা হয়। তবে মন্ত্রণালয়ের দাবি, এটি প্রায় এক মাস আগের ঘটনা।
অগ্নিকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সংঘর্ষে ১৪ জন পুলিশ সদস্য নিহত হন। আল-জাজিরার প্রতিবেদক আমর হালাবি সরেজমিনে মাজারটি পরিদর্শন করে জানান, এটি সম্পূর্ণ অক্ষত এবং নতুন নির্মাণ বলে মনে হয়েছে। স্থানীয় নিরাপত্তাকর্মীরা জানিয়েছেন, ভিডিওতে প্রদর্শিত আগুনের ঘটনা শহরটি বিদ্রোহী বাহিনীর দখলে যাওয়ার সময়ের।
স্থানীয়দের দাবি, ওই স্থানে আগে কোনো মাজার ছিল না। ২০১৭ সালে সামরিক কর্মকর্তা সোহেল হাসান সামরিক ছাউনির একটি অংশ দখল করে এটি নির্মাণ করেন। এটি ‘শেখ বেইরাকের মাজার’ নামে পরিচিত।
ভিডিওটি প্রকাশের পর সিরিয়ার তরতুস, জাবলে, লাতাকিয়া এবং হিমসে উত্তেজনা দেখা দেয়। সংঘর্ষ ও বিক্ষোভের ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করে। হিমস শহরে মোতায়েন করা হয় নিরাপত্তা বাহিনী, বসানো হয় চেকপোস্ট।
সরকার সংঘর্ষে জড়িতদের চার দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের আল্টিমেটাম দিয়েছে। অন্যথায় তাদের এলাকায় অভিযান চালানোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
কারফিউ শেষ হওয়ার পর হিমসে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে। জনজীবনেও আগের মতো স্থিতি ফিরে এসেছে।
সূত্র: আল জাজিরা
 
								 
															 
								 
							 
											







 
															 
															



